ডেস্ক রিপোর্ট: সাধারণ জনগণের বিনিয়োগে আস্থার জায়গা সঞ্চয়পত্র। এ বিষয়টি মাথায় রেখে সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বুধবার (০৮ ডিসেম্বর) বর্ধিত হার নির্ধারণের আদেশ জারি করতে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগকে (আইআরডি) অনুরোধ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মুনাফার হার বাড়ছে অন্তত ১ শতাংশ। তবে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা এর কম বিনিয়োগকারীরা মুনাফা কিছুটা বেশি পাবেন। সঞ্চয়পত্রের ধরন অনুযায়ী এ হার বেড়ে হতে যাচ্ছে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত।
অর্থ বিভাগ আইআরডিকে জানিয়েছে, জাতীয় সঞ্চয় স্কিমগুলোর মুনাফার হার পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শিগগিরই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ।
দেশে চার ধরনের সঞ্চয়পত্র রয়েছে। যা হলো—পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র ও পরিবার সঞ্চয়পত্র।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার সর্বোচ্চ রয়েছে ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ। এর মধ্যে পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ০৪ শতাংশ, পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং পেনশনার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। যা প্রস্তাবিত বাজেটে স্তরভেদে ১২ থেকে ১২.৫০ শতাংশ হতে পারে বলে জানা গেছে।
নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করে জানুয়ারি থেকে আগামী জুন পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রের সম্ভাব্য মুনাফার হার নির্ধারণ করেছে সরকার।
নতুন প্রজ্ঞাপন জারি হলে পাঁচ বছর মেয়াদি পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে সাত লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে মুনাফা পাওয়া যাবে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ হারে। আর সাড়ে সাত লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফা পাওয়া যাবে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে। বর্তমানে এ স্কিমে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।