The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

সকল প্রকার দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে বিক্ষোভ 

ঢাবি প্রতিনিধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি )ক্যাম্পাসে সকল প্রকার দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে একদল শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরি সামনে থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়।এরপর শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এসময় শিক্ষার্থীদের অপরাজনীতির ঠিকানা এই ক্যাম্পাসে হবে না, রাজনীতির কালো হাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। সমাবেশে বক্তারা বলেন,যতদিন রাজনীতি নিষিদ্ধ না হয় ততদিন আমরা ক্লাসে ফিরবো না।রাজনীতি বন্ধ করতে আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।
সমাবেশে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম বলেন, রাজনীতি থাকলে আমাদের মতো যারা সাইন্স ফ্যাকাল্টি তে আছি তাদের পড়াশোনা হবে না । ছাত্রলীগের রাজনীতি থাকাকালীন আমাদের সকাল ১০ টায় প্রোগ্রামে নিয়ে যেত একদম বিকেল পযন্ত প্রোগ্রাম করতে হতো। এমনকি ক্লাস থাকলেও আমাদের জোর করে প্রোগ্রামে নিয়ে যেত ছাত্রলীগ। আমরা আর রাজনীতি দেখতে চাইনা এই ক্যাম্পাসে।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী বাইজিদ বলেন, রাজনীতি না থাকলে গত( ১৫)জুলাই ছাত্রলীগ টোকাই দ্বারা আমাদের ভাইবোনদের রক্তাক্ত হতে হতো না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি হবে ডাকসু নির্ভর। যারা আমাদের ক্যাম্পাসে রাজনীতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের কালো হাত ভেঙে দিবে।
প্রসঙ্গত,গত ৫ (আগস্ট ) সরকার পতনের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা দাবির মধ্যে একটি ছিল ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। সরকার পতনের এক মাস গড়িমসিভাবে পার হলেও রাজনীতি থাকবে কি থাকবে না এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি।
এদিকে (২২) সেপ্টেম্বর থেকে ক্লাস শুরু হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। কিন্তু শিক্ষার্থীদের দাবি রাজনীতি বন্ধ না হলে তারা ক্লাসে ফিরবেন না।এর আগে সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ফেসবুক আইডিতে লেখেন ক্যাম্পাসে দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে সে বিষয়ে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।ছাত্ররাজনীতি থাকবে কি থাকবে না এ বিষয়ে খোলাসা করে কিছুই বলেননি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলাম।
You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.