ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বুঝতে হবে সংস্কার করা জনপ্রতিনিধিদের কাজ। ছাত্র কিংবা উপদেষ্টাদের সংস্কারের ব্যাপারে মতামত দেওয়ার কোনো অধিকার নাই।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে ভোলার লালমোহন উপজেলায় নিজ বাসভবনে স্থানীয় সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মেজর হাফিজ বলেন, বাংলাদেশের জনগণের ওপর তাদের কোনো আস্থা নাই। তারা মনে করে ইলেকশন দিলেই তো বিএনপি চলে আসবে। জনগণ যদি বিএনপিকে ভোট দেয় এটা তো আমাদের দোষ না। তারাও পারলে জনপ্রিয়তা অর্জন করুক।আমরা চাই, এ বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হোক।
তিনি বলেন, আমরা ১৭ বছর সংগ্রাম করেছি গণতন্ত্রের জন্য, জনগণের ভোটাধিকারের জন্য। এখন এ সরকারসংশ্লিষ্টরা বলে, আমরা কি ভোটের জন্য জীবন দিয়েছি কি না; ভোট তো একটা হেলাফেলার বিষয় না। এখানো কোটি কোটি লোক, যারা ভোটার রয়েছে ভোট দিতে পারে না। বছরের পর বছর একটা অবৈধ সরকার বিনা ভোটে থেকে গেল, এর অবসান হওয়ার জন্যই একটা সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন।
মেজর হাফিজ উদ্দিন বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন জাতীয় নির্বাচন এ বছরের মধ্যে হলে ভালো, না হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। আমি সাধারণভাবে যেটা বুঝি বর্তমান সরকারের কিছু কিছু উপদেষ্টার সহায়তায় নাগরিক কমিটি নামে একটা রাজনৈতিক দল হতে যাচ্ছে। ওদেরকে সময় দেওয়ার জন্যই দেড় বছর সময় নিয়েছে। যেসব সংস্কারের কথা বলে, সংস্কার করার একমাত্র অধিকার যারা নির্বাচিত জনপ্রিতিনিধি। যারা বর্তমানে আছে তাদের সংস্কার করার কোনো ম্যান্ডেট নেই। সংস্কার করবে জাতীয় সংসদ। ছাত্ররা এমন কথা বলে ৭২-এর সংবিধানকে তারা কবর দেবে। তারা কবর দেওয়ার কে? জনপ্রতিনিধিরা একটা সংবিধান রচনা করেছে, আবার জনপ্রতিনিধিরা সেটা পরিবর্তন করবে।