ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও নোয়াখালী জেলার আমির ইসহাক খন্দকার বলেছেন, হাসিনা তোমাকে আসতে হবে না, আমরাই তোমাকে নিয়ে আসব। প্রতিটি রক্তের ফোটার বিচার করা হবে, তা না হলে শহীদের আত্মা কষ্ট পাবে। শেখ হাসিনার কারণে জন্মের আগে অনেকে এতিম হয়েছে। মা তার একমাত্র সন্তানকে হারিয়েছে। শেখ হাসিনার বিচার না হলে সবার সঙ্গে অন্যায় হবে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে নোয়াখালী সদর উপজেলার বিনোদপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কর্মী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, প্রায় ১৬টি বছর আমরা কথা বলতে পারিনি। আমাদের নিবন্ধন বাতিল করে দেওয়া হলো। কিন্তু আমাদের আন্দোলন, আমাদের গতি কি থেমে গেছে? থামেনি। আমাদের শপথের কর্মী ছিল ৩৫ হাজার, জুলাইয়ের ১ তারিখ যখন আমাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে তখন আমাদের শপথের কর্মী (রোকন) প্রায় ১ লাখ। কি করেছো তোমরা (আওয়ামী লীগ)?
আমির ইসহাক খন্দকার বলেন, আওয়ামী লীগ জামায়াত শিবিরের কিছুই করতে পারেনি। জমিন যার আইন চলবে তার। ‘যত ঝরবে রক্ত জামায়াত হবে শক্ত’, ‘যত ঝরবে রক্ত, ইসলাম হবে শক্ত’, ‘যত ঝরবে রক্ত, শিবির হবে শক্ত’।
বিনোদপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির হাফেজ মাওলানা নুর হোসাইনের সভাপতিত্বে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ মামুন উদ্দিনের বাবা আবদুল মতিন কর্মী সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর নোয়াখালী জেলা সেক্রেটারি ও সাবেক বেগমগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন, জেলা মজলিসে শূরার কর্মপরিষদ সদস্য ও নোয়াখালী শহর আমির মুহাম্মদ ইউসুফ, গাজীপুর মহানগরী শূরা কর্মপরিষদ সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা নেয়ামতউল্লাহ শাকের, শহর সেক্রেটারি মো. মায়াজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ শেষে আন্দোলন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ মামুন উদ্দিনের পরিবারকে বিনোদপুর ইউনিয়ন জামায়াতের পক্ষে থেকে ৫০ হাজার টাকার অনুদান প্রদান করা হয়।