আলোতে একা হাঁটার চেয়ে অন্ধকারে একজন বন্ধুর সঙ্গে হাঁটা উত্তম।
আপনি আপনার অতীতকে যদি গ্রন্থিত করে রাখতে পরেন, তাহলে স্মৃতির সেই পাতাগুলোকে উল্টিয়ে দেখেন, জীবনের প্রতিটি ধাপে আপনার অনুভূতির সাথে কেউ না কেউ জড়িয়ে আছে।
তবে সময়ের এই ধাপগুলোর মধ্যে স্কুল জীবনের স্মৃতি সবচেয়ে বেশি সরব।
২০১৬ সালে ধুনট সরকারি নঈম উদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে স্কুল জীবন শেষে এখন অনেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে, মেডিকেল কলেজ কিংবা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত আছে। অনেকেই কর্মজীবনে প্রবেশ করছে। সবাই যে যার মতো কর্মব্যস্ত। কিন্ত স্কুল জীবনের সেই হৈ-হুল্লোড়, খেলাধুলা, স্কুল পালানো সবকিছুই যেন এখন মেন্টাল ভ্যাকেশন মনে হয়। তাইতো একটু ছুটি পেলেই বন্ধুদের সাথে স্মৃতির আঙ্গিনায় ফিরতে মন ব্যকুল হয়ে উঠে।
রমজানের শুরুতে ব্যাচের ফেসবুক গ্রুপে (সৌপায়ন ১৬) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ইফতার ও পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হবে। সবার সিদ্ধান্তে ২০ এপ্রিল (২৮ রমজান) তারিখ ঠিক করা হয়। সে অনুযায়ী চাঁদা নিয়ে পুনর্মিলনীর টি-শার্ট তৈরি করা হয়।
এর ভিতর চলে আসে আমাদের কাঙ্খিত দিনটি। ২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয়ের মেইন গেটে আমাদের ইফতার ও পুনর্মিলনী ব্যানার লাগানো হয়। আগের দিন ইফতারের জন্য যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করা হয়। দুপুরের মধ্যেই সবাই পুনর্মিলনী টি-শার্ট পরিধান করে স্কুলে আসতে শুরু করে। অনেক দিন পর যেন সবাই স্কুলের সেই দিনগুলোতে ফিরে যাচ্ছিলাম। অনেক আড্ডা, গল্প-গুজব হলো। এর মাঝে রান্নার কাজ শুরু হয়েছে। স্মৃতিগুলো ধরে রাখতে চলে ফটোসেশন, একসময় গল্পে গল্পে নিমিষেই শেষ হয়ে যায় রান্নার কাজ।
আমরা ইফতারের জন্য বসে পড়ি ক্যাম্পাসের সবুজ ঘাসের ওপর, যেখানে আমাদের স্কুলজীবনের শত শত স্মৃতি পড়ে আছে অমলিন।
একসময় ইফতার শেষ হয়, দিনের আলো নিভে অন্ধকার নামতে শুরু করে। বেজে ওঠে বিদায়ের ঘণ্টা। আস্তে আস্তে ফাঁকা হতে থাকে প্রিয় ক্যাম্পাস চত্বর। সবাই ফিরে যায় যার যার নিজস্ব জীবনে। সবমিলিয়ে একটি আনন্দঘন দিন কেটেছে প্রিয় বন্ধুদের সঙ্গে। যা আমাদের স্মৃতিতে বেঁচে থাকবে চিরদিন।
কে, এম মোবাশ্বির আহমেদ, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়