যবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ শীতার্ত ও বস্ত্রহীন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মানুষের অব্যবহৃত ব্যবহার উপযোগী শীতের পোশাক সংগ্রহ করে শীতার্ত মানুষের কাছে পৌছে দিচ্ছে যবিপ্রবির একদল শিক্ষার্থী। এরই ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার (৭ই জানুয়ারি) যবিপ্রবির ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে উদ্বোধন করা হয় ‘মানবতার দেওয়াল’ কার্যক্রমের।
প্রকৃতির নিয়মেই শীত আসে। আর শীত আসলেই চোখে পড়ে ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষদের কষ্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে বসবাসরত এমন অসহায় দুস্থ ও ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করতে কাজ করবে এই ‘মানবতার দেওয়াল’।
মানবতার দেওয়াল সম্পর্কে জানতে চাইলে যবিপ্রবির রসায়ন বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ও মানবতার দেওয়ালের একজন উদ্যোক্তা রাশেদ খান বলেন, ‘এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিল। আমাদেরকে যারা এ কাজে সহায়তা করেছে তাদেও সকলকে ধন্যবাদ জানাই। এই শীতবস্ত্র ও এখান থেকে সংগ্রহ করা টাকা দিয়ে আমরা কম্বল কিনবো যা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন গ্রামগুলোর গরীব ও অসহায় মানুষদেরকে দেওয়া হবে। এ কাজে আমরা কিছু স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করবো।’
যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা বলেন, ‘মানবতার দেওয়াল পরিচালনায় যারা কাজ করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। মানবতার দেওয়ালের মত আরও কার্যক্রম করা প্রয়োজন যেন তা মানুষের উপকারে আসে। প্রতিটি মানুষের মনে যেন মানবতা জন্ম নেয়, আমরা যেন জঞ্জাল না হয়ে যাই। কোন ধরনের সাহায্যের প্রয়োজন হলে যবিপ্রবি ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সবরকম সহায়তা দেওয়া হবে।’
যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সাল সাধারণ শিক্ষার্থীদের এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ায় যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও সাধুবাদ জানান। এছাড়া আগামীতে আরও বড় পরিসরে এ ধরনের কার্যক্রম করার ঘোষনা দেন তিনি।
যবিপ্রবির রসায়ন বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী রাশেদ খান ও যবিপ্রবির একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী অরিন্দ বাগচীর প্রচেস্টায় ও সাধারণত শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে এবছর ‘মানবতার দেওয়াল’ এর কার্যক্রম পরিচালিত হবে। শীতবস্ত্র বিতরণের দায়িত্বে থাকবেন একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী আকিব ইবনে সাইদ। উল্লেখ্য, যবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে প্রায় প্রতিবছরই এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।