ঢাবি প্রতিনিধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবু সাদিক মো. কায়েম এবং সেক্রেটারি এস এম ফরহাদের আত্মপ্রকাশের পর ভার্চুয়াল জগৎসহ নানা জায়গায় তৈরি হয় আলোচনা সমালোচনা। শিবিরের নেতৃবৃন্দের কাছে করা হয় নানা প্রশ্ন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ শিবির নিয়ে সকল প্রশ্ন এবং সমালোচনার জবাবে দলীয় অবস্থান স্পষ্ট করেন।
শিক্ষার্থীদের ছাত্ররাজনীতি অপছন্দের বিষয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিদ্যমান চিন্তাভাবনা ফ্যাসিবাদের ১৫ বছরের অপকর্মের ফলাফল। শিক্ষার্থীরা ১৫ বছর ধরে ছাত্ররাজনীতি যেমন দেখে আসছে ছাত্ররাজনীতি বলতে তাই ধরে নিচ্ছে। আগামী দিনে ছাত্ররাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করবে না। প্রশাসনই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সিদ্ধান্ত নিবে। ছাত্ররাজনীতিকে যদি সঠিক ভাবে শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরা যায় তাহলে তারা খুব সহযেই গ্রহণ করে নিবে বলে বিশ্বাস এস এম ফরহাদের।
শিবির রগ কাটে এমন মন্তব্যে এস এম ফরহাদ বলেন, আপনার একটু সার্চ করে দেখবেন, শিবিরের সংশ্লিষ্টতা এমন কিছুর সাথে খুঁজে পান কিনা। ফ্যাসিবাদ সরকার ১৫ বছর ধরে এমন একটি নেরেটিভ দাঁড় করিয়েছে,যা সমর্থন না করলেও বিরোধিতা করার সুযোগ কারো ছিল না। যার ফলে এই নেরেটিভ অনেকের মনেই প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে।
ছাত্রশিবিরকে শেখ হাসিনা সরকার এতো বেশি প্রতিরোধ কেন করেছে এ প্রশ্নের জবাবে এস এম ফরহাদ বলেন, ফ্যাসিবাদ কায়েমের পথে যাদেরকেই হাসিনা সরকার বাধা মনে করেছে তাদেরকে পথ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। বিডিআর হত্যাকাণ্ড থেকে শিবিরের উপর নির্যাতনের স্টিমরোলার এরই ধারাবাহিকতা।
শিবিরের আত্মপ্রকাশের পর শিক্ষার্থীরা কীভাবে দেখছে এবিষয়ে এস এম ফরহাদ বলেন হলের ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী আমাদেরকে পজিটিভলি নিচ্ছে। হলের শিক্ষার্থীরা আমাদেরকে বিগত বছর গুলোতে নিকট থেকে দেখার এবং যাচাই – বাছাই করার সুযোগ পেয়েছে। যার ফলে ফ্যাসিবাদের তৈরিকৃত শিবির ভীতি ক্রমেই দূর হচ্ছে।
কমিটির বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি শীগ্রই প্রকাশ করা হবে। সদস্যদের সরাসরি ভোটে কমিটির সদস্যরা নির্বাচিত হয় বলে জানান তিনি।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সকল দল আন্দোলন করেছে। অনুরূপভাবে আগামী দিনেও রাজনীতির মাঠে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে আশাবাদী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ।