বাঙলা কলেজ প্রতিনিধি: শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ আন্দোলনের পর অবশেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রমোশনের ক্ষেত্রে সিজিপিএ শর্ত শিথিল হচ্ছে। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে আরোপিত এই সিজিপিএ শর্ত শিথিল করে সব বর্ষের জন্য এক ও অভিন্ন সিজিপিএ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাবি।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ঢাবি ও সাত কলেজ প্রশাসনের যৌথ বিশেষ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এটি বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষার্থীদের আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের সমন্বয়ক (ফোকাল পয়েন্ট) ও ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য্য।
তিনি বলেন, সাত কলেজের পক্ষ থেকে এক বর্ষ থেকে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশনের জন্য যে প্রস্তাব (ঢাবির বিজ্ঞান অনুষদের অনুরূপ) তা ইতিবাচকভাবে বিবেচনাধীন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তা বাস্তবায়ন করবে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, এই প্রস্তাবনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে পাসের পর রেজুলেশন আকারে প্রকাশ করা হবে। একই সঙ্গে সিজিপিএ শর্তে আটকে যাওয়া শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য পর্যাপ্ত সময়ও পাবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, বিজ্ঞান অনুষদ ব্যাতীত অন্যান্য অনুষদের কোনো শিক্ষার্থীর প্রথম বর্ষ থেকে দ্বিতীয় বর্ষে প্রমোশন পেতে সিজিপিএ-২, দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় বর্ষের ক্ষেত্রে সিজিপিএ-২.২৫ এবং তৃতীয় থেকে চতুর্থ বর্ষে প্রমোশন পেতে ২.৫ পেতে হবে। তা না হলে ওই শিক্ষার্থীকে আবারও আগের বর্ষে থাকতে হবে।
বিজ্ঞান অনুষদের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী সিজিপিএ-২.০ পেলেই পরবর্তী যেকোনো বর্ষে উত্তীর্ণ হতে পারবে।
এতোদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মের ফলে সাত কলেজের অনেক শিক্ষার্থী সব বিষয়ে পাস করেও সিজিপিএ শর্তের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ হতে পারছিলেন না। এই সিজিপিএ শর্ত শিথিলের জন্য গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। অবশেষে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে শর্ত শিথিলের উদ্যোগ নিলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এটি বাস্তবায়ন হলে এখন থেকে সাত কলেজের সব অনুষদের শিক্ষার্থীই সিজিপিএ-২.০ পেয়ে পাস করলে পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ হতে পারবেন।