আগামী বছর থেকে নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান শুরু হবে। এই শিক্ষাক্রমে শিক্ষাবর্ষ শেষ হবে মাত্র ১৮০ দিনে। তবে এটি বাস্তবায়নে বড় বাধা হতে পারে প্রশিক্ষিত শিক্ষকের অভাব।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে এক বছরে ছুটি ৭৬ দিন। শুক্র এবং শনিবার মিলিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে আরও ১০৪ দিন। এই বন্ধের মধ্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, জাতির পিতার জন্মদিবস, স্বাধীনতা দিবস, শোক দিবস এবং বিজয় দিবস রয়েছে। সরকারি ছুটির পাঁচদিন কর্মদিবসে অন্তর্ভুক্ত করায় ১৮০ দিনে শিক্ষাবর্ষ শেষ হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনসিটিবি সদস্য অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, আমাদের কারিকুলাম বিবেচনায় শিক্ষা কর্মদিবস কমছে না। আগে প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা শেষ হতে ২৬ দিন সময় লাগত। তবে এখন সেই সময় কমে আসবে। এছাড়া এসএসসি পরীক্ষার জন্য ৩৩ কর্মদিবস প্রয়োজন হত। এখন এসএসসি পরীক্ষা ১০ বিষয়ে হওয়ায় তা ১০ দিনেই শেষ করা যাবে।
নতুন শিক্ষাক্রমের এই কর্মদিবসে শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রম পুরোপুরি নির্ভর করছে প্রশিক্ষিত শিক্ষকদের উপর। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে ইতোমধ্যে নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এনসিটিবির এই কার্যক্রম ফলপ্রসূ করতে শিক্ষকদেরই মূল ভূমিকা পালন করতে হবে।
জানা গেছে, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য ৬০০ কোটি টাকার বাজেট করা হয়েছে। ইতোমধ্যে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে ৬৪ জেলার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৫২০ জন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকেও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অধ্যাপক মশিউজ্জামানা বলেন, ইতোমধ্যে আমরা জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আগামী ১৭-২২ ডিসেম্বর চার লাখ ২০ হাজার শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সারাদেশের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ফলে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে কোনো বাধা থাকবে না।