বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয় সংঘর্ষের প্রতিবাদ জানিয়ে মশাল মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আট ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (১৫ মার্চ) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট আম চত্বর থেকে মশাল মিছিল বের করেন তারা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবন, টুকিটাকি চত্বরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই জায়গায় মিলিত হোন তারা।
৮ ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে ছিলো বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও নাগরিক ছাত্র ঐক্যের নেতাকর্মীরা ।
এসময় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন বলেন, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ও বিনোদপুরের কনস্ট্রাকশনের উপর চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে মূলত এই সংঘর্ষ সংঘটিত হয়েছে। যার দুই দিকের মূলে ছিল ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতারা। এ সংঘর্ষকেন্দ্রিক তিনটা পক্ষ তিনটা মামলা করেছে। এই মামলাগুলো সবই অজ্ঞাতনামাই করা হয়েছে। এই মামলাগুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেন হয়রানি শিকার না হয় তার সুষ্ঠু তদন্ত আমরা চাই। তদন্ত মোতাবেক দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে ও আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী সাধারণ সম্পাদক শাকিল হোসেন বলেন, ১১ তারিখ স্থানীয়দের সাথে যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে সেখানে প্রথম থেকেই ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্ট ছিল। ছাত্রলীগের নেতৃত্বেই এ সংঘর্ষ শুরু হয়েছে এবং অপর পক্ষে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ-ই নেতৃত্ব দিয়েছে। আর এদিকে ভুক্তভোগী হয়েছে সাধারণ মানুষ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের সিটগুলো দখল করে আছে এবং সিট বাণিজ্য করছে এই বিষয়গুলোকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য এ আয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হল ফি বৃদ্ধিসহ সামগ্রিক বিষয় ভিন্ন দিকে নেওয়ার জন্য নতুন নতুন ইস্যু তৈরি করছে। তারই একটা অংশ হল শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনা। ঘটনাটি ইচ্ছে করেই তারা সহিংসতায় রুপ দিয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার (১১ মার্চ) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।