বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকঃ সরকারি চাকরিতে সকল ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিলের দাবিতে গতকাল ‘বাংলা ব্লকেড’ চলাকালে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে থেকে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। তারা ক্যম্পাস থেকে বিক্ষোভ নিয়ে ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ করে ক্যম্পাসের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন। ক্যম্পাসের সামনে তারা ৩০ মিনিটের মত অবস্থান নেন। এ সময় সদরঘাট এলাকার আশেপাশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এসময় শিক্ষার্থীরা, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা, কুবিতে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব দে, চবিতে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব দে, পুলিশ/ হামলা/মামলা করে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না, দফা এক দাবি এক, কোটা নট কাম ব্যাক, সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাকারিয়া ইসলাম বলেন, আমাদের দাবী না মানা পর্যন্ত আমরা রাজপথে আন্দোলন করে যাবো। সকল ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিল করে শুধুমাত্র পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা রেখে সংসদে অবিলম্বে আইন পাশ না করা পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, শিক্ষার্থীদের একটি যৌক্তিক দাবি সরকারি চাকরিতে সকল ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিলের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করছে। কিন্তু আমরা গতকাল দেখেছি আমাদের যৌক্তিক আন্দোলন চলাকালে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের ভাই বন্ধুদের উপর হামলা করা হয়ছে। আমরা যৌক্তিক ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন করছি কিন্তু পুলিশ সেখানে হামলা করেছে। আমরা হামলাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানাই।
এর আগে ৭ জুলাই ঘোষিত শিক্ষার্থীদের বর্তমান এক দফা দাবি হলো- সকল গ্রেডে সকল প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে নূন্যতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।