শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে আমরা সোনার মানুষ পাবো না। সে জন্য পুরো শিক্ষাক্রমটাকে পাল্টে ফেলবার চেষ্টা করছি। যেখানে মুখস্ত বিদ্যা নয়। শিক্ষার্থীরা করে করে শিখবে। পরীক্ষার ভীতি থাকবে না। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠবে আনন্দ নিকেতন। শিক্ষায়তন হয়ে উঠবে মানুষ গড়ার কারখানা। ’
আজ রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কেরানীগঞ্জের তারা নগরে ছায়ানট-নালন্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অপালা ভবনের দ্বার উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি ।
নালান্দার শিক্ষা কার্যক্রমের প্রশংসা করে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করার অধিকার থাকতে হবে। পারিবারিক পরিসরেও গণতান্ত্রিক চর্চা থাকতে হবে। আর প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মনোবৃত্তি তৈরি করতে হবে। যে শিক্ষায়তন এই চর্চা করে সেই শিক্ষায়তনই সত্যিকারের শিক্ষায়তন। সে রকম একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মনে হচ্ছে নালন্দা। আমাদের দেশের সকল শিক্ষায়তন হয়ে উঠুক এই রকম আনন্দময় শিক্ষায়তন। ’
অনুষ্ঠানে দীপু মনি বলেন ষাটের দশক থেকে ছায়ানট বাঙালি সংস্কৃতি চর্চা ও সাধনাকে খরপ্রবাহে স্রোতস্বিনী করবার কাজে নিয়োজিত রেখেছে। ১৯৬৭ সালে রমনার বটমূলে বর্ষ উদযাপনের মধ্যদিয়ে বাঙালির স্বাধিকার ও স্বাধীনতার চেতনা জাগ্রত করার অনন্য প্রয়াস গ্রহণ করে ছায়ানট। স্বাধীন বাংলাদেশে, বাঙালির ঐতিহ্যকে জাগিয়ে রাখবার ঐতিহ্য হয়ে ওঠে। ছায়ানট শিশুদের নালন্দা বিদ্যালয়ের সংস্কৃতি সমন্বিত আনন্দময় বিশেষ শিক্ষা কার্যক্রম হাতে নেয়। এই শিক্ষা সুদূর প্রসারী প্রভাব ফেলছে। বাংলাদেশের সংস্কৃতির যাত্রা পথকেও এ শিক্ষাদর্শ মসৃণ করে তুলছে।
তিনি আরও বলেন, শিশুদের সামগ্রিক বিকাশ কেন্দ্র নালন্দার লক্ষ্য— শিশু চিত্তে উদ্ভাবন মানসিকতা, বিচার বোধ উস্কে দেওয়া, শিশুর গ্রহণ ও ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নির্দ্বিধায় নিঃসংকোচে প্রশ্ন করার পরিসর সৃষ্টি, শিশুদের মনে প্রকৃতি ও মানব প্রেমের আনন্দ যোগসহ বাংলা ও বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে বিশ্বসংস্কৃতির অন্তরঙ্গ সম্মিলনের মধ্য দিয়ে পরিচালিত নালন্দার শিক্ষা কার্যক্রম।