The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত আপাতত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সীমিত পরিসরেই চলবে

আপাতত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সীমিত পরিসরেই চলতে থাকবে। তবে করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি ঘন ঘন পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে রোববার রাতে করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিসহ সংশ্লিষ্ট অন্যরা। বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠকের পর রাতে এ কথা জানিয়ে পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা প্রথম আলোকে বলেন, বৈঠকে সব তথ্য-উপাত্ত ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আপাতত যেভাবে সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলছে, সেভাবেই চলবে। তবে খুব ঘন ঘন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে ও পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ বৈঠকের বিষয়ে জানাতে সোমবার বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

তবে শিক্ষামন্ত্রী রোববার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে করোনার সংক্রমণের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়া নিয়ে গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, যারা বলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তারা শুধু সংবেদনশীলতা সৃষ্টি করার জন্য করছে; অন্য কিছু না। তারা নানাভাবে গুজব ছড়ায়, সব সময়ই গুজব হয়, গুজবে কান দেবেন না। তবে প্রয়োজনে বন্ধ করা হবে। কিন্তু যতক্ষণ না সেই প্রয়োজন অনুভূত হবে, ততক্ষণ বন্ধ করা হবে না।

করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে রোববার রাতে করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে সভা হবে জানিয়ে ওই সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করে কী কী অপশন (বিকল্প) আছে তা খুঁজে বের করে, স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি বজায় রেখে ও সবাইকে কীভাবে করোনার টিকার আওতায় এনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যায়, সে ব্যাপারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হবে।

শিক্ষামন্ত্রী এ–ও বলেন‍, ‘তবে এটাও ঠিক, যদি মনে হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার কারণে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা থাকবে, তখন হয়তো বন্ধ করে দেওয়া হবে। কিন্তু এখনো যে অবস্থা আছে, আমরাই চাইছি, চেষ্টা করছি কীভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সুরক্ষিত রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়। যদি বন্ধ করতে হয় আমরাই বলব। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরে যাক। কাজেই সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।’

করোনা সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর বন্ধের পর গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। তবে সব দিন সব শ্রেণির ক্লাস হচ্ছে না। সীমিত পরিসরে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.