করোনা শনাক্তের হার কমতে শুরু করায় এ মাসেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার চিন্তা করছে সরকার। গত ২১ জানুয়ারি থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের এই ছুটি শেষ হবে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি। এরপর ছুটি বাড়ানোর পক্ষে নন শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গতকাল শুক্রবার সিলেট সার্কিট হাউজে এক মতবিনিময় সভায় এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি। তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ কমতে থাকায় শীঘ্রই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া হবে। এসময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলও উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিং বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত কয়েকদিন ধরে করোনা সংক্রমণের হার নিম্নমুখী। শনাক্ত ও মৃত্যর সংখ্যা কমেছে। গতকাল ২৪ ঘণ্টার হিসেবে করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছিলেন ৫ হাজার ২৬৮ জন। এই দিন পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ। যা বৃহস্পতিবারের তুলনায় কম। মৃত্যর সংখ্যাও কমেছে। বৃহস্পতিবার করোনায় মারা গেছেন ৪১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সেই সংখ্যা নেমে আসে ২৭ এ। করোনার কারণে দ্বিতীয় ধাপের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয় ২০ জানুয়ারি। ওইদিন করোনা শনাক্তের হার ছিলো ২৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ। বর্তমানে করোনার শনাক্ত ও মৃত্যর হার কমতে থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আর বাড়বে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস শুরু হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাসও শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নতুন করে সরকারি বিধি নিষেধ না আসলে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে সশরীরে ক্লাস চালু করার ঘোষণা দিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ও।
এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা শুরু থেকেই ভালোভাবে নেয়নি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শেষ বর্ষের তিনটি ও ডিগ্রি পাস কোর্সের মাত্র একটি পরীক্ষা বাকি ছিলো। এর মধ্যেই ২০ জানুয়ারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করায় ক্ষুব্ধ হন শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকদের অভিযোগ, করোনার মধ্যে বাণিজ্য মেলা চলেছে। অফিস-আদালত খোলা রয়েছে। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরা আরও বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।