শিক্ষক বদলিতে তদবিরের বিষয়ে সতর্ক করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। অধিদপ্তর বলছে, বদলিসহ কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন আদেশ না মেনে পরিবর্তন, সংশোধন বা বাতিলের জন্য তদবির বা রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগ করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা শিক্ষকের বিরুদ্ধে অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বুধবার মাউশির ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এতে সই করেন মাউশি মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদ।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) বদলি বাণিজ্য দীর্ঘদিনের।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বাংলাদেশ, ঢাকা এর অধীন বিভিন্ন দপ্তর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কতিপয় কর্মকর্তা কর্মচারীকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ প্রতিপালনে অনীহা প্রকাশ করতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯ এর ৩০এ এর (সি) অনুসারে কোনো সরকারি কর্মচারী সরকার বা কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশ পরিবর্তন, বদলানো, সংশোধন বা বাতিলের জন্য অনুষ্ঠিত প্রভাব বা চাপ প্রয়োগ করিতে পারিবেন না।
আচরণবিধির ব্যত্যয় ঘটিয়ে কোনো কর্মচারী এরূপ আচরণ করলে তা সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯ এর ৩২ অনুচ্ছেদ অনুসারে অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে এবং তিনি উক্ত বিধিমালার আওতায় অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত হবেন। এমন আচরণ থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।
জানা যায়, দেশের সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম মাউশি থেকেই পরিচালিত হয়। তবে দেশের ৯টি শিক্ষা অঞ্চলের বদলি শুধুমাত্র সেখান থেকেই করা হয়। অঞ্চল পরিবর্তন করতে হলেই মাউশিতে তদবিরের কোনো বিকল্প নেই। সেবাপ্রার্থীরা বলছেন, আঞ্চলিক বদলি করতে অল্প ঘুষ দিলে সহজেই কাজ হয়ে যায়। সময়ও লাগে কম। কিন্তু অঞ্চল পরিবর্তন অর্থাৎ কেউ যদি খুলনা থেকে রাজশাহী অঞ্চলের স্কুলে পোস্টিং নিয়ে যেতে চান, তখন মাউশি থেকেই অর্ডার করে বলদি করা হয়।
খোদ মাউশি ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই বলছেন, এখান থেকে বদলি হতে বেশ কিছু প্রভাবক দরকার হয়। এর মধ্যে অন্যতম তদবির, টাকা, ক্ষমতা ও রাজনৈতিক প্রভাব। তবে ঘুষ দিতে হলেও ভালো তদবিরের প্রয়োজন। তা না হলে বদলির ফাইল বছরের পর বছর একই জায়গায় পড়ে থাকে।