ববি প্রতিনিধি: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) সকল বিভাগের একাডেমিক অগ্রগতি জানতে চেয়ারম্যানদের সাথে একটি সভার আহ্বান করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানি। কিন্তু উপ-উপাচার্যরে নোটিশকে আইন বহির্ভূত উল্লেখ করে সকল বিভাগের চেয়ারম্যানদের বিষয়টি আমলে না নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পাল্টা আরেকটি নোটিশ জারি করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শূচিতা শরমিন।
বৃহস্পতিবার ( ৬ই ফেব্রুয়ারি ) জারিকৃত দুটি নোটিশ মাধ্যমে এবিষয়টি জানা গেছে।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী’র জারিকৃত নোটিশে দেখা যায় , আগামী ০৯ই ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল ১১ টায় উপ-উপাচার্যের অফিসে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক অগ্রগতি নিয়ে একটি সভা আহবান করা হয়েছে। সেখানে সকল বিভাগের চেয়ারম্যানদের উপস্থিত থাকার জন্য বিনীত অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এর প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম সাক্ষরিত পাল্টা নোটিশে সকল বিভাগের চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্যে করে আরেকটি নোটিশ জারি করা হয় । যেখানে বলা হয় , উপর্যুক্ত বিষয়ের আলোকে আপনারা অবগত আছেন যে, বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক নির্বাহী কর্মকর্তা হলেন মাননীয় উপাচার্য। তাঁর নির্দেশ ও অনুমোদন ছাড়া অন্য কোনো পত্র কোনো দপ্তরপ্রধান, কর্মকর্তা বা অন্য কেউ শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীর উদ্দেশ্যে প্রেরণ করতে পারেন না। যদি কেউ এরকম পত্র প্রেরণ করেন সেটি বিধি বহির্ভূত। সঙ্গত কারণে মাননীয় উপ-উপাচার্যের নির্দেশক্রমে প্রেরিত পত্রটি নিয়ম বহির্ভূত। উক্ত পত্রটি কোনোভাবেই কোনো শিক্ষককে আমলে না নেয়ার জন্য মাননীয় উপাচার্যের নিদের্শক্রমে অনুরোধ করা হলো।
পাল্টা নোটিশের বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম বলেন, মাননীয় উপাচার্যের নির্দেশক্রমে আমি চিঠি দিয়েছি। মাননীয় উপাচার্য যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন সেভাবেই আমি চিঠি দিয়েছি। আমি উপাচার্যের সচিব। উপাচার্যের আদেশ নির্দেশ শোনাই বিশ্ববিদ্যালয় আমার কাজ
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানী বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন এর ১১(ক) এর ২ নং ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক দায়িত্ব পালন করবে প্রো-ভিসি। আমি প্রো-ভিসি পদে যোগদানের পর বিগত তিন মাসের মধ্যে মৌখিক ও লিখিতভাবে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার জন্য উপাচার্য মহোদয়কে বারংবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্যি যে, উপাচার্য মহোদয় অদ্যাবধি আমাকে একাডেমিক দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এমতাবস্থায়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম দেখবাল ও দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে একাডেমিক কার্যক্রমের অগ্রগতি ও সার্বিক অবস্থা জানার জন্য আমি বিভাগীয় চেয়ারম্যান মহোদয়দের সাথে একটি মতবিনিময় সভার আহবান করেছি। মূলত: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক এক্সিলেন্সি আনয়নই এ সভার উদ্দেশ্য। প্রো-ভিসি হিসাবে এটি আমার দায়িত্ব বলে আমি মনে করি। অতএব, আমার অফিস কর্তৃক চেয়ারম্যান মহোদয়দের নিকট প্রেরিত চিঠির বিপরীতে রেজিস্ট্রার প্রেরিত চিঠি যথাযথ ও বিধিসম্মত হয়নি বলে আমি মনে করি।
তবে এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শূচিতা শরমিনের সাথে মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায় ।