বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, শিক্ষকতাকে অবশ্যই বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। যাতে মেধাবীরা এ পেশায় আসতে উৎসাহিত হন। শিক্ষকতা এমন একটি পেশা, যারা শিক্ষার্থীদের তৈরি করেন। তাই শিক্ষকদের সর্বোচ্চ মর্যাদায় ভূষিত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লার দেবিদ্বারে সরকারি রেয়াজ উদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আজকে যে অনুষ্ঠান হচ্ছে বিদায় সংবর্ধনা নামে সেটার বিষয়ে আমার আপত্তি আছে। আসলে স্যারদের বিদায় নেই। আগে তারা সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত স্কুলে সময় ব্যয় করতেন। আজ থেকে তাদের দায়িত্ব বেড়ে গেল। আগে শুধু স্কুল নিয়ে ভাবতে হতো। আজ থেকে বৃহৎ পরিসরে তারা সমাজের দায়িত্ব নেবেন।
বিদ্যালয়ের বিএনসিসি ও স্কাউট দলের সমন্বয়ে অবসরপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস সবুর ও সহকারী শিক্ষক জামাল মোহাম্মদ কবিরের বিদায় উপলক্ষ্যে দুজনককে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ফুলের শুভেচ্ছাসহ নানা উপঢৌকন প্রদান করা হয়।
বিদায়ী দুই শিক্ষক তাদের ৩৩ বছরের শিক্ষকতা জীবনের স্মৃতিচারণ এবং শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মানুষ হওয়ার শিক্ষার্জনের তাগিদসহ মোবাইল আসক্ত, মাদক, ইভটিজিং বর্জনসহ নানা উপদেশ্যমূলক বক্তব্য দেন। পুরো অনুষ্ঠানটিই শোকাবহ ছিল। অনুষ্ঠান শেষে করুণ সুরে ব্যান্ড বাজিয়ে ফুলের সাজে সুসজ্জিত একটি গাড়িতে প্রিয় দুই শিক্ষককে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কামরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে এবং শিক্ষক অলিউল্লাহ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য দের প্রাক্তন শিক্ষার্থী হাসনাত আব্দুল্লাহ, সহকারী শিক্ষক মিতা বেগম, আজিজুর রহমান, মো. মোশাররফ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।