চীনে অধ্যয়নরত পাঁচ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে অবিলম্বে চীনে ফিরিয়ে নেয়ার দাবিতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
শনিবার বিকাল ৩টার দিকে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুনের সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি শাহীন সিকদার।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহীন সিকদার বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন ও সংগ্রামের পাশাপাশি সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল অনিয়ম ও অসঙ্গতির বিরুদ্ধে রাজপথে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবাদ করে আসছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। এরই ধারাবাহিকতায় চীনে অধ্যয়নরত পাঁচ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে অবিলম্বে চীনে ফিরিয়ে নেয়ার দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন বলেন, ‘করোনাভাইরাস সঙ্কট স্বাভাবিক হওয়ার পর বিশ্বের প্রায় সকল দেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা যেতে পারলেও প্রায় দুই বছর যাবত চীন সরকার অন্যায়ভাবে বাংলাদেশের হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে চীনে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে না। এটি কূটনৈতিক শিষ্টাচারের চরম লঙ্ঘন। বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ বিষয়ে নীরব থাকা আমাদেরকে হতাশ করেছে। আমরা এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রতিটি যৌক্তিক আন্দোলনের পাশে থাকবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। চীনে অধ্যয়নরত পাঁচ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে অবিলম্বে চীনে ফিরিয়ে নিতে হবে।’ অন্যথায় বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ চীনফেরত শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও চীন দূতাবাস ঘেরাওসহ আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করবে বলে জানান তিনি।
সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে, করোনাভাইরাস সঙ্কটে চীনে অধ্যয়নরত বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেয়া হলেও এখনো পর্যন্ত চীনে ফেরত নেয়া হয়নি। এ কারণে হাজার হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে ভবিষ্যৎ জীবন অন্ধকারের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আমরা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতি চীন সরকারের এই চরম বৈষম্যমূলক নীতির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
চীনফেরত ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কামরুল হাসান বলেন, ‘বিশ্বের সকল দেশের শিক্ষার্থীরা চীনে যেতে পারলেও আমরা কেনো যেতে পারছি না? চীন সরকার আমাদের সাথে অন্যায় আচরণ করছে। আমাদের ভবিষ্যৎ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। দাবি না মানা হলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবো।’