রাবি প্রতিনিধি: আবরার ফাহাদ একটি চেতনার নাম। তিনি ভারতীয় বৈষম্যবাদের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম শুরু করেছিলেন, ৫ বছর পর চব্বিশের বিপ্লবে এসে সেটি পূর্ণতা পেয়েছে। তাঁর চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়েই লক্ষ লক্ষ মানুষ রাজপথে নেমেছে। ফলে স্বৈরাচার হাসিনা তার মসনদ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। তাই শহীদ আবরার ফাহাদকে বলা যায় জুলাই বিপ্লবের ভিত্তি স্থাপনকারী।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বেলা ১১টায় শহীদ শরিফুজ্জামান নোমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শহীদ আবরার ফাহাদের ৫ম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন রাবি শাখা শিবিরের সভাপতি আব্দুল মোহাইমেন।
তিনি আরো বলেন, দেশপ্রেমিক ও ধর্মপরায়ণ জাতির এই মেধাবী সন্তানকে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা মধ্যযুগীয় কায়দায় হত্যা করেছে। শুধু আবরার ফাহাদ নয়, সারা দেশের প্রত্যেকটি ক্যাম্পাসে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেওয়া এবং ইসলাম পালন করার কারণে অসংখ্য শিবির কর্মী এবং ধর্মপ্রাণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের অমানবিক নির্যাতন ও হত্যা করে ছাত্রলীগ। তাই সময়ের দাবী, সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগের রাজনীতি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা।
সেক্রেটারি মোস্তাকুর রহমান জাহিদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাবি শাখা শিবিরের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় দাওয়াহ সম্পাদক হাফেজ নুরুজ্জামান বলেন, “শহীদ আবরার ফাহাদ ছিলেন একটি প্রতিবাদী চেতনার নাম। দেশসেরা ক্যাম্পাসে পড়েও তিনি ছিলেন ধর্মপালনে প্রত্যয়ী একজন মানুষ। তাই তাকে ছাত্রলীগ পাশবিক কায়দায় নির্যাতন করে হত্যা করে। কিন্তু তাকে হত্যা করে বাংলাদেশী মুসলিম প্রতিবাদী সত্তাকে তারা বিনষ্ট করতে পারেনি।”
আলোচনা শেষে আবরার ফাহাদের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনার মাধ্যমে প্রোগ্রাম শেষ হয়। এতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
রাবি শিবিরের সভাপতি আব্দুল মোহাইমেনের সভাপতিত্বে শাখার অন্যান্য দায়িত্বশীলবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।