প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ছাত্রলীগকে বলি, তোমরা নিজেদেরকে গড়ে তুলবে একজন আদর্শবান কর্মী হিসেবে। খেয়াল রাখবে, কোনো লোভের বশবর্তী হয়ে পা পিছলে পড়ে যেয়ো না। নিজেদের শক্ত করে সততার পথে এগিয়ে যাবে। সংগঠনকে শক্তিশালী করবে এবং জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় কাজ করবে। আর সেভাবেই নেতৃত্ব গড়ে উঠবে।’
প্রধানমন্ত্রী গতকাল বুধবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের সাহায্যে রাজধানীর খামারবাড়ির বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগকে কোনোভাবেই বিভ্রান্তির পথে না গিয়ে পাঠে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘তোমাদের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে তাল মেলাতে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে এখন থেকেই নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশে আরো বলেন, মানুষের জন্য কাজ করাই ছাত্রলীগের মূল দায়িত্ব। এটাই রাজনৈতিক নেতাদের কাজ এবং তা ছাত্রলীগকে মনে রাখতে হবে। জাতির পিতার বলে যাওয়া কথা ‘মহান অর্জনের জন্য মহান আত্মত্যাগ দরকার’, সে কথা ছাত্রলীগকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘কাজেই আমাদের ছাত্রলীগের প্রত্যেক নেতা-কর্মীকে মনে রাখতে হবে, তারা কেউ যেন বিভ্রান্ত না হয়। সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয়। দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয়। নিজেদের এসবের ঊর্ধ্বে রেখে দেশ যেন শান্তির পথে, উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারে, সেদিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের দল গণমানুষের দল, অধিকারহারা মানুষের কথা বলেই এই সংগঠন তৈরি। এই গর্বটা থাকতে হবে কিন্তু সেটা যেন আবার অহমিকায় পরিণত না হয়, সেদিকেও লক্ষ রাখতে হবে, বিনয়ী হতে হবে। আর দেশের মানুষকে ভালোবাসতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগসহ আমাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সবাইকেই এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে, যাতে আবার কোনো হায়েনার দল এসে এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে। এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া যাবে না।’
অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান। ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।