হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নবজাতকের পিতৃপরিচয় না থাকায় ‘লোকলজ্জার ভয়ে’ ডোবায় ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক তরুণীর বিরুদ্ধে। সোমবার হবিগঞ্জ সদর উপজেলার আব্দাবকাই চৌমুহনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নবজাতকেকে ডোবায় ফেলার পরে ওই তরুণী তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন। আজ বিকেলে প্রেমিকের বিরুদ্ধে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন তরুণী
নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে মঙ্গলবার বিকেলে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। এদিকে গুরুতর অবস্থায় ওই তরুণীকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বছরখানেক আগে বাদীর পরিচয় হয় বানিয়াচং উপজেলার এক তরুণের সঙ্গে। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। বিষয়টি ওই যুবককে জানালে তিনি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।
রবিবার হবিগঞ্জ শহরের একটি বাসায় সন্তান জন্ম দেন ওই তরুণী। কিন্তু পিতৃপরিচয় না থাকায় ‘লোকলজ্জার ভয়ে’ নবজাতককে ডোবায় ফেলে দেন। পরে স্থানীয়রা ডোবায় নবজাতককে দেখে ৯৯৯-এ কল করে জানালে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
এদিকে পলাতক যুবকের বিরুদ্ধে আজ ধর্ষণ মামলা করেছেন তরুণী। বাদীর দাবি, প্রেমিক তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এতে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হন। বিষয়টি প্রেমিককে জানালে তিনি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান এবং যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি গোলাম মর্তুজা বলেন, ‘নবজাতকের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তরুণী গুরুতর অসুস্থ থাকায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়ে কী করা যায় তার এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’
এছাড়া এ ঘটনায় প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।