ডেস্ক রিপোর্ট: লেবাননের নতুন নেতা জোসেফ আউনের সঙ্গে দেখা করতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বৈরুতে পৌঁছেছেন। আরব নিউজ জানিয়েছে, লেবাননের সার্বভৌমত্ব সুসংহত করতে, সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে এবং ঐক্য বজায় রাখতে ‘সহায়তা’র জন্য ম্যাক্রোঁর এই সফর।
দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক শূন্যতার পর গত ৯ জানুয়ারি জোসেফ আউন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নওয়াফ সালামকে বেছে নেন।
ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধ এবং বছরের পর বছর ধরে চলা অর্থনৈতিক সংকটের পর তারা এখন লেবাননকে নেতৃত্ব দেওয়ার কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতি চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়নের জন্য ২৬ জানুয়ারির সময়সীমা ঘনিয়ে আসায় ম্যাক্রোঁ লেবাননের রাজধানীতে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গেও দেখা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
লেবাননের সাথে ফ্রান্সের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৪৩ সালে লেবাননের স্বাধীনতার পর থেকেও দুই দেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে।
ম্যাক্রোঁ এবং সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান লেবাননে একটি ‘শক্তিশালী সরকার’ গঠনে ‘পূর্ণ সমর্থন’ দিয়েছেন। দুই নেতার মধ্যে ফোনালাপের পর বৃহস্পতিবার ফরাসি প্রেসিডেন্সি এ কথা জানিয়েছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্সি জানায়, নতুন সরকারকে অবশ্যই লেবাননের বৈচিত্র্যময় জনগণকে একত্রিত করতে হবে, ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন নিশ্চিত করতে হবে এবং দেশের সমৃদ্ধি, স্থিতিশীলতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হবে।
২৭ নভেম্বরের যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের সময় লেবাননের দক্ষিণে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের পাশাপাশি লেবাননের সেনাবাহিনী মোতায়েনের জন্য ৬০ দিন সময় পাবে। একই সময়ে হিজবুল্লাহকে সীমান্ত থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে লিতানি নদীর উত্তরে তার বাহিনী প্রত্যাহার করতে হবে এবং দক্ষিণ লেবাননে তাদের যে কোনো অবশিষ্ট সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করতে হবে।
এর আগে, গত অক্টোবরে প্যারিসে একটি ত্রাণ সম্মেলনের পর ফরাসি প্রেসিডেন্ট লেবাননের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একত্রিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।