ডেস্ক রিপোর্ট: লিভ টুগেদার ইস্যু নিয়ে মন্তব্য করার জন্য আলোচিত অভিনেত্রী ও সংগীতশিল্পী জিনাত সানু স্বাগতাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আরিফুল খবির নামক একজন ব্যক্তির পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহম্মদ মেছবাহ উদ্দিন চৌধুরী পাঠিয়েছেন নোটিশটি।
এ অভিনেত্রী কিছুদিন আগেই এক মন্তব্যে বলেন, ‘আমাদের সমাজও পরিবর্তন হচ্ছে। ডিভোর্স নরমালাইজ হচ্ছে, লিভ টুগেদারও নরমালাইজ হবে, ইনশাল্লাহ।’ আর এ বক্তব্যটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয় অভিনেত্রীকে।
নোটিশে বলা হয়, আপনি (স্বাগতা) হাসান আজাদ নামক একজন ব্যক্তির সঙ্গে লিভ টুগেদার করেছেন বলে স্বীকার করেন। যা বিগত ১ (এক) বছর যাবৎ করেছেন তাও প্রকাশ্যে স্বীকার করেন এবং পাশাপাশি লিভ টুগেদার করার জন্য উৎসাহ প্রদান করেন। যেহেতু আপনি একজন মুসলমান ধর্মাবলম্বী হওয়ায় আপনার জানা আছে বিয়ের পূর্বে নারী ও পুরুষের মধ্যে সহবাস বা লিভ টুগেদার করা সম্পূর্ণরূপে হারাম। আপনি উক্ত হারাম বিষয়টি নিজে করে অপরকে করার জন্য উৎসাহ প্রদান করেছেন। যার কারণে সমাজে ব্যভিচারের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে সমাজে এক বিশৃঙ্খলার পরিবেশ সৃষ্টি হবে।
এছাড়াও বলা হয়, নোটিশ প্রাপ্তির ৭ (সাত) দিনের মধ্যে আপনার উক্ত বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইবেন এবং তা নোটিশ প্রদানকারী আমার মোয়াক্কেলকে অবহিত করবেন। অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে নোটিশের ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমকে স্বাগতা বলেন, লিভ টুগেদারে কাউকে উৎসাহ দেইনি আমি। এটা যার যার ব্যক্তিগত রুচি ও পছন্দের ব্যাপার। আমার আগেও অনেকে লিভ টুগেদার করেছেন। আমি মনে করি না কেউ আমার কথায় উৎসাহী হয়ে লিভ টুগেদার করবেন।
লিভ টুগেদারের কারণে নিজের প্রথম সংসার ভাঙার কারণ বলে মনে করছেন এ অভিনেত্রী। স্বাগতা বলেন, দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নিজেদের সম্মতিতে লিভ টুগেদারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এতে আমার ভুল কোথায়? আমার প্রথম বিয়ে তো ওয়ার্ক করেনি। বিয়ে নিয়ে অনেক ভয়-ভীতি কাজ করছিল আমার মধ্যে, যদি আগেরবারের মতো অত্যাচার সহ্য করতে হয় আমাকে। আবার যদি একইরকম ঘটনা ঘটে আমার সঙ্গে? এ জন্য বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে ভালোভাবে বুঝে নিয়েছি নিজেদের।
এছাড়া লিগ্যাল নোটিশ করা ব্যক্তির উদ্দেশে স্বাগতা বলেন, যার অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে, তাকে আমি অনুরোধ করব, তিনি যেন তার নিজ ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক নিয়ম মেনে চলেন। তাকে আমার নিয়ম মানতে হবে না। কোন বাস্তবতায় আমি কী করেছি, তা বুঝতে পারবেন না তিনি।