The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

লিফট কিনতে ফিনল্যান্ডে উড়াল দিলেন ঢাবি উপ-উপাচার্যসহ ৪ জন

টিআরসি রিপোর্টঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) নির্মাণাধীন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলসহ বিভিন্ন ভবনের লিফট কিনতে ফিনল্যান্ডে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারসহ চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

প্রতিনিধি দলের বাকি সদস্যরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এ বি এম তৌফিক হাসান এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিসের পরিচালক জাবেদ আলম মৃধা।

শনিবার (৪ মে) ভোরে ফিনল্যান্ডের উদ্দেশে উপ-উপাচার্যের (শিক্ষা) নেতৃত্বে তারা রওনা করেন। আগামী ৯ মে তাদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন বিভিন্ন একাডেমিক ভবন, হলসহ বিভিন্ন ভবনের জন্য ১৭টি লিফট কেনার জন্য এ প্রতিনিধি দল ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন। তবে ফিনল্যান্ড যাওয়া আসার খরচ বিশ্ববিদ্যালয় বহন করবে না বলে জানা যায়।

রেজিস্ট্রার ভবন থেকে তথ্য অনুযায়ী, লিফট কেনার প্রকল্প রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (আরএমআইএল) এর কাছে ন্যস্ত রয়েছে। তারাই প্রতিনিধিদের ফিনল্যান্ড নিয়ে যাবেন, লিফট দেখবেন এবং লিফট কেনার বিষয়ে স্বাক্ষর করবেন। তাছাড়া যেই লিফট পছন্দ করে কেনা হয়েছে সেটাই শিপমেন্ট করা হচ্ছে কি না সেটাও পরীক্ষা করবেন এই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

তবে লিফট কিনতে বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ হবে না বলা হলেও ভিন্ন মত রয়েছে অনেকের। তাদের মতে, দিন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়কেই খরচ বহন করতে হবে। আপাত দৃষ্টিতে প্রতিনিধি দলের যাবতীয় খরচ ঠিকাদার বহন করলেও সেটা লিফটের খরচের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যার ফলে লিফটের দাম স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি হবে।

ঢাবির রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে জানা যায়, চলতি মাসের ২-৯ তারিখ পর্যন্ত তাদের ৮ দিনের ছুটি মঞ্জুর করা হয়েছে। তাদের সফরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বাংলাদেশ সরকার কোনও আর্থিক খরচ বহন করবে না। প্রতিনিধি দল আজকে সকালেই ফিনল্যান্ডের উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন। এ বিষয়ে আমার বলার কিছু নেই। আমার কাজ ছুটি দেওয়া, আমি ছুটি দিয়েছি। বাকি সব কাজ ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তরের৷

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) কাজী মো. আকরাম হোসেন গনমাধ্যমকে বলেন, এটা নিয়ে এত আলোচনার কিছু দেখি না। বাংলাদেশের যে কোনও টেন্ডার নিলে সেখানে প্রি-শিপমেন্টের বিষয়টি সামনে আসে। লিফট কেনার ট্রেন্ডারেও তাই উল্লেখ করা আছে। এই বিষয়টি অধিক স্বচ্ছ করতে দুটি টিমও গঠন করা হয়েছিল। সেখান থেকেই দুজন প্রশাসনিক ও দুজন টেকনিক্যাল স্পেশালিষ্ট ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন। এর আগে রোকেয়া হলের লিফটের ট্রেন্ডার স্বচ্ছতার সঙ্গে করা হয়নি, কারণ সেখানে প্রশাসনের যোগসূত্র ছিল না। তাই এবার প্রতিনিধি দলকে ফিনল্যান্ড পাঠানো হয়েছে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.