ডেস্ক রিপোর্ট: ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলস পুড়ছে আগুনে। ভয়াবহ এই দাবানল নিয়ন্ত্রণে একটি উজ্জ্বল গোলাপী পাউডার ব্যবহার করা হচ্ছে যেটির নাম ফস-চেক। বিমান ও হেলিকপ্টার থেকে ফেলা হচ্ছে এই অগ্নি প্রতিরোধক। গত সপ্তাহে লস অ্যাঞ্জেলেসে হাজারো গ্যালন লাল-গোলাপি গুঁড়া উড়োজাহাজ থেকে ছিটানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফস-চেক মূলত আগুনের গতি কমিয়ে দেয় এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোকে অনেকাংশে রক্ষা করে।
দাবানলের বিস্তার রোধে অগ্নিপ্রতিরোধক সাধারণত দাবানলের আশেপাশে আগুনের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে স্প্রে করা হয়। তবে স্প্রে করার পর গোলাপী অগ্নিপ্রতিরোধক শহরটিতেও তার ছাপ রেখে গেছে।
আগুনে ভস্মীভূত শহর লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়িঘর ও যানবাহন এখন প্রাণবন্ত রঙে রঞ্জিত। মূলত ‘পিঙ্ক কালার’ আগুনের বিরুদ্ধে পরিচালিত ভয়াবহ যুদ্ধের স্পষ্ট স্মারক হিসেবে কাজ করে।
অগ্নি প্রতিরোধক হল ফস-চেক নামক পণ্যটি ‘পেরিমিটার’ নামক একটি কোম্পানি বিক্রি করে। এর আগে, ১৯৬৩ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দাবানল মোকাবেলায় এটি ব্যবহার করা হচ্ছে।
ক্যালিফোর্নিয়া বন ও অগ্নি সুরক্ষা বিভাগ কর্তৃক ব্যবহৃত প্রধান দীর্ঘমেয়াদী অগ্নি প্রতিরোধক এটি। ২০২২ সালে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, এটি বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত অগ্নি প্রতিরোধকও।
গত সপ্তাহে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানল ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে, যানবাহন ও ড্রাইভওয়েতে গোলাপী পাউডারের মতো পদার্থের ছবি দেখা গেছে।
তবে ফস-চেক তৈরি করা কোম্পানি পেরিমিটার নিরাপদে পাউডার পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করেছে। বলা হয়েছে, ‘অগ্নি প্রতিরোধক যত বেশি সময় থাকবে তত বেশি শুকিয়ে যাবে। এমন হলে সম্পূর্ণরূপে রঙ অপসারণ করা বেশি কঠিন হবে।’
কোম্পানিটি বলেছে, রঙ অপসারণে গরম পানি এবং হালকা ডিটারজেন্ট কার্যকর। তবে বড় আকারের জায়গা পরিষ্কারের ক্ষেত্রে প্রেসার ওয়াশার ব্যবহার করা যেতে পারে।