সাতক্ষীরার কুমিরা মহিলা কলেজের অনার্স প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী ঝুম্পা মজুমদার (২০)। পরীক্ষা দিতে গত ৩ নভেম্বর পাটকেলঘাটা থেকে ইজিবাইকযোগে সাতক্ষীরা শহরের কেন্দ্রে আসছিলেন। পথে মাথার লম্বা চুল জড়িয়ে যায় ইজিবাইকের মোটরে।
মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনায় প্রাণ বাঁচলেও ঝুম্পার মাথার ওপর থেকে চামড়াসহ সব চুল উঠে জড়িয়ে যায় মোটর ভ্যানে। বর্তমানে তিনি খুলনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঝুম্পা মজুমদার সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের রাড়ীপাড়া গ্রামের নেপাল মজুমদার মেয়ে।
নেপাল মজুমদারের তিন সন্তানের মধ্যে ঝুম্পা মজুমদার সবার বড়। দ্বিতীয় বোন প্রতিবন্ধী এবং ছোট বোনের বয়স পাঁচ বছর।
ঝুম্পার আত্মীয় নারায়ণ মজুমদার বলেন, বর্তমানে ঝুম্পা মজুমদার খুলনা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিতে হবে। তবে এই চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। ঝুম্পার দরিদ্র বাবার পক্ষে তার ব্যয় বহন করা কঠিন। এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
ঝুম্পা মজুমদারের বাবা নেপাল মজুমদার জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি অন্যের জমিতে কৃষিকাজ করে সংসার চালাই। অনেক কষ্টে মেয়েকে লেখাপড়া করিয়েছি। আমার মেয়েটা বাঁচতে চায়। তবে আমার পক্ষে এত ব্যয়বহুল চিকিৎসা করানো সম্ভব না। আপনারা একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে আমার মেয়েকে বাঁচার সুযোগ করে দিন।’