ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, মৌলিক সূচকগুলোর মান নিশ্চিত করার আগে বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিংয়ে নিজেদের অবস্থান নিয়ে ভাবতে চাই না।
শুক্রবার (১০ জুন) রাতে আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে ঢাবির অবস্থান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন তিনি।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, “কতগুলো মৌলিক প্যারামিটার আছে, সেই প্যারামিটারগুলো এড্রেস করার পূর্বে র্যাংকিং বিষয়টা ভাবা উচিত নয়। এগুলোর উন্নয়ন না ঘটিয়ে র্যাংকিংয়ের বিষয়ে আমরা অ্যাটেনশন দেব না। কারা কী র্যাংকিং করল, এগুলো এখন একেবারেই দেখি না।”
তিনি আরও বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে আমরা এখন শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে আমরা বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। এগুলোর ফল পাওয়া শুরু করলে র্যাংকিংয়ে ভালো কিছু আশা করা যাবে। এর আগে আমরা র্যাংকিং নিয়ে ভাবছি না।”
এর আগে গত বুধবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কোয়াককোয়ারেল সাইমন্ডস (কিউএস) বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাঙ্কিং ২০২৩ প্রকাশ করেছে। তালিকায় এবারও প্রথম ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নেই ঢাবি।
গত বছরের মতো এই বছরের তালিকাতেও দেশের শীর্ষ দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৮০১ থেকে ১০০০ এর মধ্যে রয়েছে। কিউএস তাদের তালিকায় ৫০০ এর পরে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান সুনির্দিষ্ট করে উল্লেখ করেনি।
একাডেমিক খ্যাতি, চাকরির বাজারে সুনাম, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত, শিক্ষকপ্রতি গবেষণা-উদ্ধৃতি, আন্তর্জাতিক শিক্ষক অনুপাত ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী অনুপাতের ভিত্তিতে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাঙ্কিং করে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে কিউএস’র তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল ৬০১ এর মধ্যে। ২০১৪ সালে তা পিছিয়ে ৭০১তম অবস্থানের পরে চলে যায়। ২০১৯ সালে তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান আরও পেছনের দিকে চলে যায়।