জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) র্যাগিংয়ের মাধ্যমে নবীন শিক্ষার্থীকে হয়রানি করেছে এমব কারও বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী অভিযুক্তকে বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। পাশাপাশি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে তার স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এতে বলা হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইনস্টিটিউট, বিভাগ এবং ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মাঝে র্যাগিংয়ের কিছু অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এর ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা অপদস্থ ও অত্যাচারের ভয়ে থাকে। র্যাগিং শৃঙ্খলাপরিপন্থি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কেউ র্যাগিং এর সঙ্গে জড়িত প্রমাণিত হলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী বহিষ্কার বা অন্যান্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও বলা হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং করলেই স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে বলে আদেশ জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের প্রতি কোনো ধরণের র্যাগিং না করার করার নির্দেশনা জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আর সেই সাথে র্যাগিংয়ের সাথে কোনো শিক্ষার্থী জড়িত থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার হুশিয়ারি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, যদিও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে এবং ক্যাম্পাসে র্যাগিংয়ের অভিযোগ নেই। তবু সদ্য ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা র্যাগিং নামক অত্যাচারের ভয়ে থাকে। র্যাগিং শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কেউ র্যাগিংয়ে জড়িত থাকলে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজের জন্য সেই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে।
র্যাগিং এর বিষয়ে বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নিউটন হাওলাদার বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং বলতে কোনো শব্দ নেই। কারো বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপাচার্যের নির্দেশনা রয়েছে র্যাগিং এর বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’।