গাইবান্ধায় শিশু সন্তানসহ রেললাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন এক নারী। ট্রেন আসতে দেখে তাকে বাঁচাতে যান এক কলেজছাত্র। ট্রেনের ধাক্কায় দুজনেরই মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ওই নারী আত্মহত্যা করতে ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ ঘটনায় গহবধূর কোলে থাকা শিশুটি ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়।
সোমবার (১ এপ্রিল) সকালে গাইবান্ধা জেলা শহরের মাঝিপাড়া এলাকার রেললাইনে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত হওয়া শিশুটিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত কলেজছাত্রের নাম নাজিউল ইসলাম। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তার বাড়ি জেলার সাঘাটা উপজেলায়। তিনি গাইবান্ধার এসকেএস স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। নিহত গৃহবধূ মাঝিপাড়া এলাকার আনোয়ারের স্ত্রী রাজিয়া বেগম (২৩)।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকালে সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে ওই গৃহবধূ মাঝিপাড়া এলাকার রেললাইনে অপেক্ষা করছিলেন। একপর্যায়ে ট্রেন আসতে দেখেও ওই গৃহবধূ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকায় কলেজছাত্র নাজিউল তাকে রেললাইনের ওপর থেকে সরানোর জন্য হাত ধরে টানতে থাকেন। একপর্যায়ে ট্রেন দুজনকেই ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়।
গৃহবধূর সঙ্গে থাকা দুই বছরের ছেলে শিশুটি লাইন থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে বাচ্চাটির অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
বোনারপাড়া (গাইবান্ধা) রেলওয়ের পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম বলেন, শিশুসহ গৃহবধূকে বাঁচাতে গিয়ে কলেজছাত্রসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই নারীর কোলে থাকা শিশুটি ছিটকে পড়ে যায়। আহত শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য রংপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।