অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর পুনরায় আলোচনার পর ‘রাষ্ট্র সংস্কার’ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গঠিত কমিটি কাজ শুরু করবে।
আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাতিসংঘ সফর পরবর্তী আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ছয়টি কমিশন আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে কাজ শুরু করার কথা। কিন্তু সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে উপদেষ্টা পরিষদ আলোচনা করতে চাচ্ছে। আলোচনা করে উনারা চূড়ান্ত করবেন। আলোচনাটা খুব কুইক হবে, এটুকু আমি বলতে পারি আলোচনাটা হওয়ার পরেই দেখবেন কমিশনের কাজ শুরু হচ্ছে। ওই আলোচনায় আওয়ামী লীগকে ডাকা হবে কিনা তা উপদেষ্টা পরিষদ জানাতে পারবে। কারণ, তারাই রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, ৬ জন কমিশনারের নাম যেহেতু ঘোষণা হয়ে গেছে আমি বলতে পারি টেকনিক্যালি কমিশনার কাজ কিছুটা হলেও শুরু হয়েছে। পলিটিক্যাল পার্টিরা তো এখানে একটি স্ট্রাইক হোল্ডার। তাদের সঙ্গে একটু আলাপ হবে এবং সেখানে তাদের মতামত চাওয়া হবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা সঙ্গে বৈঠকে বিশ্বনেতা নির্বাচনের সময়সীমা সম্পর্কে জানতে চাননি। তারা জানেন যে বাংলাদেশের যে কাজগুলো হবে ইট উইল টেক টাইম। নির্বাচনের সময় নির্ভর করবে কমিশনার রিপোর্ট এবং পলিটিকাল কনসালটেশন তারপরে টাইমের বিষয়টা আসে নির্বাচন কবে হবে। ১৬ মাস না ১৮ মাস ১২ মাস না ছয় মাস এটা আসলে ডিসাইড করবে বাংলাদেশের জনগণ। কমিশনের রিপোর্ট, কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে পলিটিক্যাল কনসালটেশন, এবং এই কনসালটেশনের পরে বাংলাদেশের জনগণ বাংলাদেশের সোসাইটি, বাংলাদেশের সমস্ত স্টিকার যখন ডিসাইড করবে যে না আমরা এই এই বিষয়ে একটি ঐক্যমতে পৌঁছেছি তখন ইলেকশনের একটি ইয়ে হবে। এটা কবে হবে তা এখনই নির্ধারণ করা যাচ্ছে না। আর আমার মনে হয় যে সেনাপ্রধান এখানে অপিনিয়ন দিয়েছিলেন।