রাবি প্রতিনিধি : গত ১৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের ১০০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২২০ জনের নামে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম। রাবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আহসান হাবিব মামলাটি করেন।
মামলায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সাকিবুল হাসান বাকিকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব, সহ-সভাপতি মেজবাহুল ইসলাম, শাহিনুল ইসলাম সরকার (ডন), মো. জাকিরুল ইসলাম (জ্যাক), মো. মইন উদ্দিন রাহাত, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শামীম ইমতিয়াজসহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বিগত সরকারের আমলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ওপর বিভিন্ন ধরনের চাপ প্রয়োগ করে। একপর্যায়ে তারা প্রাণনাশের হুমকি দেন। গত ১৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের অবৈধ বলপ্রয়োগ, ভয়ভীতি ও হুমকি উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের সামনের কর্মসূচি পালনের জন্য সমবেত হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, ‘ওইদিন বিকেল ৩টা ১০ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র (রামদা, হাসুয়া, চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি, লোহার রড, জিআই পাইপ, হকিস্টিক, ক্রিকেট স্ট্যাম্প, ফলকাটা চাকু, হাতুড়ি, বটি) নিয়ে কর্মসূচীতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে ছাত্রলীগের ‘ক্যাডার বাহিনী’ শিক্ষার্থীদের ওপর ককটেল বিস্ফোরণ করে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা তাদের কাছে থাকা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রাণনাশের ভীতি সৃষ্টি করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে বাদী মোহাম্মদ আহসান হাবিব বলেন, ‘ছাত্রদলের হাইকমান্ডের নির্দেশনায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নামে মামলা করা হয়েছে।’
মামলার বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রদল নেতার করা মামলাটি আজকেই দায়ের হয়েছে। মামলাটি তদন্তকারী অফিসারের কাছে গেলেই কাজ শুরু হবে।’