রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটেই চলেছে। এক সপ্তাহে ধারাবাহিকভাবে সাতটি সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। তবে এ বিষয়ে সিসিটিভি ফুটেজসহ একাধিকবার পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও এখনও পর্যন্ত কোনো চোরকেই সনাক্ত করতে পারেনি তারা। ফলে তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
প্রক্টর সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন শিক্ষার্থী, একজন কর্মচারী ও একজন শিক্ষকের ছেলের সাইকেল চুরি হয়েছে। যে ৫ জন শিক্ষার্থীর সাইকেল চুরি হয়েছে তারা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অনিল চাকমা, আরবী বিভাগের নূর আলম নেহাল, আরবী বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী ইয়াসির আরাফাত সিফাত, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের আসমাউল ইসলাম এবং গণিত বিভাগের জাহিদ হাসান।
সর্বশেষ রোববার (১৩ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবনের নিচ তলা থেকে গনিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসানের সাইকেলটি চুরি হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলছে, সাইকেল চুরি হওয়ার সাথে সাথে আমরা প্রশাসনের সহয়তায় সিসিটিভি ফুটেজের ভিডিও ও ছবি নিয়ে মতিহার থানায় জিডি করি কিন্তু তাতে কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। অভিযোগের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এক্ষেত্রে মতিহার থানার ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে তারা। পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতা নিয়ে খোদ রাবি প্রশাসনও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকায় হতাশ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হল বলেন, এক সপ্তাহে ধারাবাহিকভাবে সাতটি সাইকেল চুরি হয়েছে। প্রতিবারই সিসিটিভির ফুটেজ থেকে পাওয়া ছবি নিয়ে ক্যাম্পাস সংলগ্ন মতিহার থানায় জিডি করা হয়েছে। কখনো শিক্ষার্থীরা আবার কখনো আমরা বাদী হয়ে থানায় জিডি করেছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো চোরকেই তারা ধরতে সক্ষম হয়নি। এটা বড় হতাশার ব্যাপার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর মতিহার থানার পরিদর্শক আনোয়ার আলী তুহিন বলেন, আমরা এখনো পর্যন্ত কোনো চোর চক্রকে ধরতে পারিনি। তবে আমরা এ চক্রের সদস্যদের ধরার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের অভিযোগগুলো নিয়ে আমাদের টিম কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।