ডেস্ক রিপোর্ট: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে জাকের আলী ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রে। ব্যাটিংয়ের ১৫তম ওভারে রানআউটের বিভ্রান্তি আর ড্রেসিংরুমে ফিরে যাওয়া—সব মিলিয়ে নাটকীয় মুহূর্তের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন তিনি। তবে সেই চাপ সামলে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেই ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন জাকের।
ঘটনার সূত্রপাত ১৫তম ওভারে রোস্টন চেজের করা তৃতীয় বলে। ২ রান নেওয়ার জন্য দৌড় শুরু করেছিলেন জাকের, কিন্তু নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে থাকা শামীম হোসেন সাড়া দেননি। দুই ব্যাটসম্যানই এক প্রান্তে চলে আসেন, আর মনে হয়েছিল জাকের রানআউট হয়েছেন। হতাশায় গজরাতে গজরাতে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান তিনি। কিন্তু ভিডিও রিপ্লেতে দেখা যায়, শামীমের ব্যাট মাটিতে ছিল না। ফলে রানআউট হয়েছিলেন শামীম, জাকের নয়।
আম্পায়ারের ডাকে আবার মাঠে ফিরতে হয় জাকেরকে। কিন্তু নাটক এখানেই শেষ হয়নি। একই ওভারের পঞ্চম বলে আবারও রান নিতে গিয়ে আউট হয়ে যান মেহেদী হাসান, কোনো রান না করেই। এই দুই রানআউটের ঘটনাতেই চাপ বেড়ে যায় বাংলাদেশের ওপর।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জাকের বলেন, ‘ওই রানআউটের ঘটনায় ড্রেসিংরুমে ফিরে রাগে সবকিছুতে লাথি মারছিলাম। তখনই আম্পায়ার আমাকে ডেকে ফেরত পাঠান।’
এরপর ১৭ বলে ১৮ রান থেকে সুযোগ কাজে লাগিয়ে জাকের খেলেন ৭২ রানের অসাধারণ ইনিংস। ৪১ বলে ৩ চার ও ৬ ছক্কার ঝড়ো ইনিংসে জীবন পাওয়ার পর করেন আরও ৫৪ রান। তার ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ১৮৯ রানের বড় সংগ্রহ পায়।
পুরো সফরেই ছিলেন দুর্দান্ত। টেস্টে ৪৪ গড়ে ১৭৬ রান, ওয়ানডেতে ৫৬.৫০ গড়ে ১১৩ রান এবং টি-টোয়েন্টিতে ৬০ গড়ে ১২০ রান করে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন জাকের আলী।
নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে জাকের বলেন, ‘পুরো সিরিজে ভালো খেলেছি। আমি জানতাম, যদি সময় নিতে পারি, রান করবই।’