The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪

রাতারাতি দেউলিয়া হলেন ২৬ বিলিয়ন ডলারের মালিক

মোট ২৬ বিলিয়ন ডলারের মালিক ছিলেন ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ এফটিএক্স-এর সিইও স্যাম ব্যাংকম্যান-ফ্রাইড। গত সপ্তাহের শুরুতেও তার মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। কিন্তু সপ্তাহ না ঘুরতেই তার এখন দেউলিয়া হওয়ার দশা।একদিনেই তার মোট সম্পত্তির ৯৪ শতাংশ রীতিমতো হাওয়া হয়ে গেছে।

স্যামের বয়স মাত্র ৩০ বছর। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ বিনান্স এফটিএক্স কিনতে চলেছে ঘোষণা করার পরই হু হু করে কমতে থাকে স্যামের সম্পদ। বিনান্সের সিইও চ্যাংপেং ঝাও ট্যুইটে লিখেছিলেন, তার কোম্পানি এফটিএক্স কেনার উদ্দেশ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করতে চলেছে। বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ বিনান্সের সিইও এও জানিয়েছিলেন যে, এই চুক্তি বাধ্যতামূলক নয়। অর্থাৎ বিনান্স চাইলে পরে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরেও আসতে পারে।

কয়েনডেস্কের খবর অনুযায়ী, এফটিএক্স অধিগ্রহণের খবর ছড়িয়ে পড়ার সপ্তাহখানেক আগেও স্যাম ব্যাংকম্যান-ফ্রাইডের আনুমানিক ১৫ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের সম্পদ ছিল। কিন্তু খবরটি সামনে আসার পর রাতারাতি তার সম্পদ থেকে প্রায় ১৪.৬ বিলিয়ন ডলার কার্যত উধাও হয়েছে গিয়েছে। মাত্র ৩০ বছর বয়সী বিলিয়নিয়ারের কাছে এটা বড় ধাক্কা সন্দেহ নেই।সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি এসবিএফ (নামের সংক্ষিপ্ত রূপ) নামে পরিচিত। এত কম বয়সে তার উপার্জন দেখে ফরচুন ম্যাগাজিন তাকে আগামী দিনের ওয়ারেন বাফেট আখ্যা দিয়েছিল।

কয়েকদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে স্যাম বলেছিলেন, নিজের বিপুল সম্পত্তি তিনি মানুষের কল্যাণে ব্যয় করতে চান। এই কাজ করতে গিয়ে তার পকেটে যদি কানাকড়িও না থাকে তাহলেও কিছু যায় আসে না। বিলিয়নিয়ার হওয়ার পরেও তিনি একটি করোলা গাড়ি চালান। রবিনহুড তার আদর্শ। অন্যদের সাহায্য করেই সুখী হতে চান তিনি।

বিলিয়নিয়ার থেকে রাতারাতি পথে নেমে যাওয়ার এমন খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। কেউ স্যামকে সমবেদনা জানাচ্ছেন। কেউ বলছেন, সবটাই সাজানো। কেউ কেউ আবার পুরনো খবরের স্ক্রিনশট পোস্ট করে লিখেছেন, ‘মিশন সাকসেসফুল।’

স্যাম ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গ্র্যাজুয়েট। তার বাবা স্ট্যানফোর্ড ল স্কুলের অধ্যাপক। মধ্যবিত্ত পরিবার। ক্রিপ্টোকারেন্সির জগতে পা দেবার আগে ওয়াল স্ট্রিটে ব্রোকার হিসেবে কাজ করেছেন। বেশ কিছু মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, স্যাম নিরামিষাশী, রাতে মাত্র চার ঘণ্টা ঘুমান। মধ্যবিত্ত পরিবারের এই সাধারণ ছেলেটিই ক্রমশ হয়ে ওঠেন ক্রিপ্টোকারেন্সির পাবলিক ফেস।

সূত্র: এনডিটিভি, নিউজ ১৮।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. রাতারাতি দেউলিয়া হলেন ২৬ বিলিয়ন ডলারের মালিক

রাতারাতি দেউলিয়া হলেন ২৬ বিলিয়ন ডলারের মালিক

মোট ২৬ বিলিয়ন ডলারের মালিক ছিলেন ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ এফটিএক্স-এর সিইও স্যাম ব্যাংকম্যান-ফ্রাইড। গত সপ্তাহের শুরুতেও তার মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। কিন্তু সপ্তাহ না ঘুরতেই তার এখন দেউলিয়া হওয়ার দশা।একদিনেই তার মোট সম্পত্তির ৯৪ শতাংশ রীতিমতো হাওয়া হয়ে গেছে।

স্যামের বয়স মাত্র ৩০ বছর। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ বিনান্স এফটিএক্স কিনতে চলেছে ঘোষণা করার পরই হু হু করে কমতে থাকে স্যামের সম্পদ। বিনান্সের সিইও চ্যাংপেং ঝাও ট্যুইটে লিখেছিলেন, তার কোম্পানি এফটিএক্স কেনার উদ্দেশ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করতে চলেছে। বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ বিনান্সের সিইও এও জানিয়েছিলেন যে, এই চুক্তি বাধ্যতামূলক নয়। অর্থাৎ বিনান্স চাইলে পরে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরেও আসতে পারে।

কয়েনডেস্কের খবর অনুযায়ী, এফটিএক্স অধিগ্রহণের খবর ছড়িয়ে পড়ার সপ্তাহখানেক আগেও স্যাম ব্যাংকম্যান-ফ্রাইডের আনুমানিক ১৫ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের সম্পদ ছিল। কিন্তু খবরটি সামনে আসার পর রাতারাতি তার সম্পদ থেকে প্রায় ১৪.৬ বিলিয়ন ডলার কার্যত উধাও হয়েছে গিয়েছে। মাত্র ৩০ বছর বয়সী বিলিয়নিয়ারের কাছে এটা বড় ধাক্কা সন্দেহ নেই।সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি এসবিএফ (নামের সংক্ষিপ্ত রূপ) নামে পরিচিত। এত কম বয়সে তার উপার্জন দেখে ফরচুন ম্যাগাজিন তাকে আগামী দিনের ওয়ারেন বাফেট আখ্যা দিয়েছিল।

কয়েকদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে স্যাম বলেছিলেন, নিজের বিপুল সম্পত্তি তিনি মানুষের কল্যাণে ব্যয় করতে চান। এই কাজ করতে গিয়ে তার পকেটে যদি কানাকড়িও না থাকে তাহলেও কিছু যায় আসে না। বিলিয়নিয়ার হওয়ার পরেও তিনি একটি করোলা গাড়ি চালান। রবিনহুড তার আদর্শ। অন্যদের সাহায্য করেই সুখী হতে চান তিনি।

বিলিয়নিয়ার থেকে রাতারাতি পথে নেমে যাওয়ার এমন খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। কেউ স্যামকে সমবেদনা জানাচ্ছেন। কেউ বলছেন, সবটাই সাজানো। কেউ কেউ আবার পুরনো খবরের স্ক্রিনশট পোস্ট করে লিখেছেন, ‘মিশন সাকসেসফুল।’

স্যাম ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গ্র্যাজুয়েট। তার বাবা স্ট্যানফোর্ড ল স্কুলের অধ্যাপক। মধ্যবিত্ত পরিবার। ক্রিপ্টোকারেন্সির জগতে পা দেবার আগে ওয়াল স্ট্রিটে ব্রোকার হিসেবে কাজ করেছেন। বেশ কিছু মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, স্যাম নিরামিষাশী, রাতে মাত্র চার ঘণ্টা ঘুমান। মধ্যবিত্ত পরিবারের এই সাধারণ ছেলেটিই ক্রমশ হয়ে ওঠেন ক্রিপ্টোকারেন্সির পাবলিক ফেস।

সূত্র: এনডিটিভি, নিউজ ১৮।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন