বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ আজ শুক্রবার ১২.০৩ মিনিটে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থী মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।মৃত্যুবরণকারী শিক্ষার্থীর নাম জিসান আরা মাসুমা।তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।
তিনি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের নরিনা এলাকার বাসিন্দা।
সহপাঠীদের সূত্রে জানা যায়, মাসুমা দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। সম্প্রতি অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। টানা ১১ দিন আইসিইউতে থাকার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত ১২.০৩ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এদিকে মাসুমার মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মাসুমার একজন সহপাঠী বলেন, মাসুমা একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। দীর্ঘদিন অসুস্থতার মধ্যেও সবসময় ভাল রেজাল্ট করে আসছিলো। অত্যাধিক অসুস্থতার কারণে ৩য় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে না পারায় ৩য় বর্ষে পুনরায় ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো।
অপর এক সহপাঠী বলেন, এতদিন তার সাথে এক ক্লাসে বসে ক্লাস করেছি, পরীক্ষা দিয়েছি। আজ সে আমাদের মাঝে নেই, সত্যিই মেনে নেওয়ার মতো না। অসুস্থতার কারণে অনেক কষ্ট পেয়েছে। আজ একটি পবিত্র দিনে সে মৃত্যুবরণ করেছে, আমি তার মাগফেরাত কামনা করছি।
ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ তথা মাসুমার শিক্ষক প্রশান্ত কুমার পোদ্দার জানায়, ওর মতো ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট আমি খুব কমই দেখেছি। সারা বছর মেয়েটা অসুস্থ থাকতো ট্রিটমেন্ট চলার কারণে থাকতো কখনো দেশে অথবা বাইরের কোনো হাসপাতালে তাই ক্লাস করতে পারতো না। পড়াশোনার প্রতি খুব ঝোঁক ছিল যখন গত বছর পরীক্ষা দিতে পারে নি এইবার রিএডমিশন নেয়ার কথা ছিল জুনিয়র ব্যাচের সাথে। আমাকে মাঝে মধ্যেই ফোন দিয়ে বলতো স্যার আমি তো ওই ব্যাচের সাথে পড়বো মিড গুলা এখন দিতে পারছি না, আমি বলেছিলাম আপনি সুস্থ হয়ে আসেন আপনার মিড আটকে থাকবে না। আজ সব কিছুর উর্ধ্বে চলে গেলেন মাসুমা মাসুমার রিএডমিশনের প্রপোজাল টা অব্দি আমরা ওইদিন একাডেমিক কমিটি তে গ্র্যান্টেড করে দিয়েছিলাম। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগে মাসুমার মত মেধাবী খুব কমই আসবে। সৃষ্টিকর্তা মাসুমা- কে পরপারে চিরশান্তি প্রদান করুক। আর আমার সকল শিক্ষার্থী সুস্থ থাকুক।
উল্লেখ্য যে, জিসান আরা মাসুমা ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ১২ তম হয়েছিলেন। পরবর্তীতে বিভাগের পরীক্ষায়ও তিনি সবসময় সেরা ৩ এর মধ্যে ছিলেন।