রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস. এম. হাসান তালুকদার বলেছেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ বছরের চিত্র খুবই হতাশাজনক।
আজ ০২ অক্টোবর (বুধবার) সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস. এম. হাসান তালুকদার বক্তব্যের শুরুতে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহিদ ও ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে নিহত আবু সাঈদসহ সকল বীর শহিদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান ও বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। তিনি নোবেল বিজয়ী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান ও আত্মার শান্তি কামনা করেন।
ভাইস-চ্যান্সেলর বলেন, সাংবাদিকেরা হচ্ছে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ, রাষ্ট্র সংস্কারে তাদের অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা ছিলো, এজন্য আমি আপনাদের অভিবাদন জানাই। তিনি আরো বলেন, আমি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রক্টরিয়াল বডি, প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থী ও শাহজাদপুরের স্থানীয় প্রশাসন ও স্টেকহোল্ডারগণের সাথে মতবিনিময় করেছি, তাদের মতামত ও পরামর্শ নিয়েছি। সেই অনুযায়ী বিভিন্ন পদক্ষেপ চলমান আছে।
ভাইস-চ্যান্সেলর আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স ৭ বছর অতিক্রম করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী কোন অবকাঠামো নাই। একজন নাগরিক হিসেবে আমি প্রত্যাশা করেছিলাম রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়,বাংলাদেশ নামটি যেমন বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়টিও বিশ্বমানের হবে। কিন্তু এই সাত বছরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের যে চিত্র তা খুবই হতাশাজনক। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমের সংকটসহ নানাবিধ সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্ত সমস্যা সমাধানে তিনি উপস্থিত সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। এসময় উপস্থিত সাংবাদিক প্রতিনিধিগণ তাদের মতামত ও পরামর্শ প্রদান করেন এবং রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে সবসময় পাশে থেকে সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে আশ্বাস প্রদান করেন।
ভাইস-চ্যান্সেলরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদ, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ গোলাম সরোয়ার এবং শাহজাদপুর ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকবৃন্দ।