যৌন হয়রানির অভিযোগে কাউনিয়ার সেই আলোচিত শিক্ষক তুহিন এখন কারাগারে
সাইদুল ইসলাম, রংপুরঃ রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় বালিকা মাদ্রাসার ক্লাস রুমে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির চেষ্টার মামলায় মাদ্রাসা শিক্ষক তাজুল ইসলাম তুহিনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
গত মঙ্গলবার রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-৩ এর বিজ্ঞ বিচারক এম আলী আহমেদ এ আদেশ প্রদান করেন।
তাজুল ইসলাম তুহিন রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার কূর্শা ইউনিয়নের বাহাগিলী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে এবং ওই এলাকার সিঙ্গারকুড়া আহমাদিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসার ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ আগস্ট দুপুরে সিঙ্গারকুড়া আহমাদিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসায় ক্লাস রুমে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে একা পেয়ে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেন শিক্ষক তুহিন। এসময় মেয়েটি চিৎকার করলে তার সহপাঠীরা এগিয়ে যায়। তখন তুহিন বিষয়টি অন্যদের না বলার জন্য ওই শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি দেখান। পরে ক্লাস শেষে মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। এ ঘটনায় গত ২৫ আগস্ট ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে কাউনিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারায় তাজুল ইসলাম তুহিনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর গা ঢাকা দেয় ওই শিক্ষক। পরে তিনি মাহামান্য হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে মামলার বাদীকে আবারো ভয়ভীতি দেখায়।
রংপুর নারী ও শিশু আদালতের সরকারি কৌঁসুলি পিপি তাজিবুর রহমান লাইজু বলেন, কাউনিয়া উপজেলার সিঙ্গারকুড়া আহমাদিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসার ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক তাজুল ইসলাম তুহিন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারার একটি মামলায় মাহামান্য হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলো। ইতিমধ্যে তার জামিনের মেয়াদ শেষ হয়। গত মঙ্গলবার আসামি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত- ৩ এর বিজ্ঞ বিচারক।
সিঙ্গারকুড়া আহমাদিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসা সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক তাজুল ইসলাম তুহিন এর আগেও প্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেছিল। গত ২৪ আগষ্ট ঘটনার পর ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে শিক্ষক তাজুল ইসলাম তুহিন সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।