মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হলেও নতুন বছরের মার্চের শেষের দিকে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে৷ সময় অল্প হওয়ায় প্রস্তুতি নিতে হবে ভালোভাবে। এই সময়ের প্রস্তুতিই একজনের মেডিকেলে পড়ার স্বপ্ন পূরণ করবে।
মেডিকেলে আসন সংখ্যা কম হওয়ায় ভর্তি পরীক্ষায় তীব্র প্রতিযোগিতা হয়। পরীক্ষায় ভালো করতে হলে নিয়ম মাফিক পড়ালেখার বিকল্প নেই। এজন্য একটি রুটিন তৈরি করা খুব জরুরি। পাঠ্যবই ভালোভাবে পড়তে হবে। কেননা ভর্তি পরীক্ষার অধিকাংশ প্রশ্নই হয়ে থাকে বোর্ড বই থেকে। বিশেষ করে জীববিজ্ঞান বইটি ভালোভাবে পড়তে হবে।
পরীক্ষার মানবণ্টন: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার মোট নম্বর ৩০০। এর মধ্যে ২০০ নম্বর এসএসসি ও এইচএসসি’র জিপিএর উপর। আর পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত থাকে নম্বর ১০০। ১০০ নম্বরের ১০০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর করতে হয়। এর মধ্যে জীববিজ্ঞান ৩০, পদার্থ বিজ্ঞান ২০, রসায়ন ২৫, ইংরেজি ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিষয়ে ১০ নম্বরের প্রশ্ন থাকে।
শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি: ভর্তি পরীক্ষার প্রায় সব প্রশ্নই যেহেতু মূল বই থেকে করা হয়ে থাকে। তাই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি হিসেবে মূল পাঠ্যবইয়ের প্রতিটি বিষয় ভালো করে রিভিশন দিতে হবে। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় খুব জটিল কোনো প্রশ্ন থাকে না। সেক্ষেত্রে মূল বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিসয়গুলো ভালোভাবে রিভিশন দিতে হবে। প্রয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো বারবার খাতায় লিখতে হবে।
সাধারণ জ্ঞান: সাধারণ জ্ঞান বিষয়ের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বিষয়াবলি, খেলাধুলা, বাংলাদেশের নদ-নদী, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বাংলা সাহিত্য, বাংলাদেশ ও বিশ্বের প্রথম, বৃহত্তম, ক্ষুদ্রতম, বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিখ্যাত স্থাপত্য ও ভাস্কর্য, পুরস্কার ও সম্মাননা, বিশ্ব ইতিহাস এবং বিভিন্ন ধরনের দিবসসমূহ ভালোভাবে পড়লে ১০ নম্বরই কমন পাওয়া যায়।
ইংরেজি: ইংরেজির ক্ষেত্রে Voice, Narration, Synonym, Antonym, Correction, Spelling, Preposition, Phrase & Idioms বিষয়গুলো ভালো করে পড়তে হবে। যেকোন একটি ভালো গ্রামার বই থেকে এই বিষয়গুলো আরও বিস্তারিত পড়তে হবে।
পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান: পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও গাণিতিক সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য বিগত ১০ বছরের মেডিকেল এবং ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নগুলো সমাধান করা যেতে পারে। এটি ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন সম্পর্কে একটি ধারণা দেবে। একই সাথে এখান থেকে অনেকগুলো প্রশ্ন কমনও পাওয়া যাবে। পদার্থ রসায়ন এবং জীববিজ্ঞানের ক্ষেত্রে মূল বইয়ের দাগানো অংশগুলো ভালোভাবে রিভিশন দিতে হবে।
-শিশির আসাদ, লেখক ও কলামিস্ট-