প্রথমবার আইসিসির পূর্ণ সদস্য কোনো দেশের সাথে সিরিজ খেলার সুযোগ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। আর এতেই তারা গড়েছে ইতিহাস। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস গড়ার দিনে লজ্জায় ডুবেছেন শান্ত-সাকিবরা। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে মঙ্গলবার বাংলাদেশকে হারিয়ে চমক দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। আর দ্বিতীয় ম্যাচে ৬ রানে হারিয়ে সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়েছে মোনাঙ্ক প্যাটেলের দল। অপরদিকে, এই হারে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই তুলনামূলক ‘দুর্বল’ যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ হারের লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে শান্তর দলকে।
যুক্তরাষ্ট্রকে ১৪৪ রানে আটকানোর পর মনে হচ্ছিল সহজেই টপকে যাবে বাংলাদেশ। তবে বাজে ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী এই ম্যাচেও দেখিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তরুণ তানজিদ হাসান তামিমের সাথে এই ম্যাচে ওপেন করতে নেমেছিলেন সৌম্য সরকার। তবে প্রথম বলেই ডাক মেরে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য। নেত্রভালকার বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সৌম্য। লিটন দাসের জায়গা সুযোগ পাওয়া তানজিদ তামিমও দলের আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। ব্যক্তিগত ১৯ রানে ও দলীয় ৩০ রানে জেসি সিংয়ের বলে বোল্ড আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন তামিম। তার বিদায়ে পাওয়ার-প্লেতেই দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর অধিনায়ক শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে তোলে বাংলাদেশ। তবে এই দুই ব্যাটারের স্ট্রাইক রেট মোটেও টি-টোয়েন্টি সুলভ ছিল না। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৬ রান অধিনায়ক শান্তর ব্যাট থেকে এলেও ‘তার ব্যাটিং ’ডট’ থেকে বের হতে পারেননি তিনি। এই রান তুলতে খেলেছেন ৩৪টি বল। তা থেকে এসেছে একটি ছক্কা ও দুইটি চার। হৃদয় খেলেন ২১ বলে ২৫ রানের ইনিংস। হৃদয়ের বিদায়ে ৯২ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। এরপর ব্যাটে আসা অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও ব্যর্থ হয়ে ফিরেছেন। তিনি করেছেন তিন চার। এতে ১০৬ রানেই বাংলাদেশ হারায় পঞ্চম উইকেট।
দলীয় ১২৪ রানের সময় পরপর দুই বলে আউট হয়ে ফেরেন জাকির আলী অনীক ও সাকিব আল হাসান। এই দুইজনের বিদায়ে যুক্তরাষ্ট্রের জয় হাতের নাগালে চলে আসে। সাকিব ৩০ ও জাকির খেলেন চার রানের ইনিংস। শেষদিকে রিশাদ, তানজিম সাকিব, শরীফুল ও মোস্তাফিজরা মিলে ২০ রান তুলতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৩ ওভারে ১৩৪ রানেই থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে আলী খান তিনটি উইকেট শিকার করেন। নেত্রভালকার ও শাল্কউইক নিয়েছেন দুইটি করে উইকেট। কোরি অ্যান্ডারসন ও জেসি সিং একটি করে উইকেট শিকার করেছেন।
এর আগে, টসে হেরে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশকে ১৪৫ রানের লক্ষ্য দেয় স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। নির্ধারিত ২০ ওভারে তারা ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান সংগ্রহ করে। বাংলাদেশের পক্ষে রিশাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর ও শরীফুল ইসলাম দুইটি করে উইকেট শিকার করেন।