যবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) এর শিক্ষার্থী থেকে যবিপ্রবির সহযোগী অধ্যাপক হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিকৌশল বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী ড. মো. রাফিউল হাসান। প্রথম কোন যবিপ্রবিয়ান হিসেবে তিনি এ সাফল্য অর্জন করেন।
২৬শে অক্টোবর (মঙ্গলবার) নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের সুপারিশ ও ৩০শে অক্টোবর (শনিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫ তম রিজেন্ট বোর্ডের ৯৫/০৪(ক)(২) নং এর সীদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
প্রথম কোন যবিপ্রবিয়ান হিসাবে তার এ অর্জনে উচ্ছাস প্রকাশ করে তিনি বলেন, যেকোন কিছুর প্রথম একটি অন্যরকম বিষয়। সেদিক বিবেচনায় আমি অনেক উচ্ছাসিত। প্রথমে আমার এই সাফল্যের পিছনের কারিগর, আমার পিতা-মাতা, অর্ধাঙ্গী, শিক্ষক- শিক্ষিকা মন্ডলীসহ আমার সকল গুণগ্রাহীদের কাছে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি মনে করি, তাদের সহযোগিতা ও দোয়া ছাড়া এত অল্প সময়ে এই সাফল্য সম্ভব ছিলো না। আমি বিস্বাস করি, সময়মতো সঠিক সিদ্ধান্ত নিলে ও চেষ্টা করলে এবং আল্লাহ সহায় হলে সফলতা আসন্ন।
এসময় তিনি আরো বলেন, আমি নিজেকে তখনই সার্থক মনে করব, যখন দেখব আমার অর্জিত জ্ঞান ও প্রচেষ্টায় কোন শিক্ষার্থীর কল্যাণ সাধিত হচ্ছে।
ড. মো. রাফেউল হাসান তার শিক্ষা জীবনে স্পেনের জারাগোজা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ স্প্যানিস ডিসটিংশন সহ পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনের জন্য তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের H2020 প্রোজেক্টের ফান্ড থেকে স্কলারশিপ প্রাপ্ত হন। এসময় তার গবেষণার বিষয়বস্তু ছিলো – Metal-Organic-Framework-Pebax Bases Mixed Matrix Membranes for Post Combustion Carbon dioxide Capture। এছাড়া তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইরাসমুস মুন্ডুস স্কলারশিপ নিয়ে ৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইউনিভার্সিটি ওফ মন্পেলিয়ে (ফ্রান্স), ইউনিভার্সিটি ওফ টুলুস (ফ্রান্স), ইউনিভার্সিটি ওফ কেমিস্ট্রি এন্ড টেকনোলজি প্রাগ (চেক রিপাবলিক) ও ইউনিভার্সিটি ওফ জারাগোজা (স্পেন)) অধ্যায়ন করে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সময় তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৩ টি দেশ ভ্রমন করে তাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও জীবনধারণের কৌশল উপলব্ধি করার চেষ্টা করেন।
উল্লেখ্য, তিনি যবিপ্রবির কেমিকৌশল বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষাথী হিসেবে ২০১৪ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ২০১৫ সালের ১৬ মে প্রভাষক হিসেবে নিজ বিভাগে যোগদান করেন। এরপর ২০১৮ সালের ৩০শে জুন সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদন্নোতি প্রাপ্ত হন এবং একই বছরের আগস্টে উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষা ছুটি নিয়ে বিদেশে গমন করেন।