যবিপ্রবি প্রতিনিধি: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) কর্মচারী সমিতির সাবেক সভাপতি মো. সাজেদুর রহমান জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান সোহাগের বিরুদ্ধে সমিতির অর্থ আত্মসাতের মামলায় অর্থ আত্মসাতের প্রমান পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এই মর্মে পিবিআই এর পুলিশ পরিদর্শক হিরন্ময় সরকার ৪০৬/৪২০ ধারায় আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
যবিপ্রবির কর্মচারী সমিতির বর্তমান সভাপতি মো. বদিউজ্জামান বাদলের করা এ মামলায় কর্মচারী সমিতির ২০১৯-২০ সেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুজ্জামান সোহাগ’কে ১নং আসামি ও তৎকালীন সভাপতি সাজেদুর রহমান জুয়েলকে ২নং আসামি করা হয়।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী আসামি সোহাগ ও জুয়েল সমিতির দায়িত্বে থাকাকালীন আয় ব্যয়ের হিসাব বুঝিয়ে দিতে ব্যর্থ হলে ৩ নভেম্বর ২০২২ তারিখে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি। উক্ত তদন্ত কমিটি এক লাখ ৪৪ হাজার টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পান। সমিতির আয়কৃত ঐ টাকার কোন রেজুলেশন বা সমিতির আয় ব্যয়ের খাতায় লিপিবদ্ধ বা সমিতির ব্যাংক হিসাবে না রেখে আসামিরা ওই টাকা আত্মসাত করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। কিন্তু পিবিআই এর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলকারী কর্মকর্তা হিরন্ময় সরকার ৩১২০০ টাকা অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে বিবাদীরা সাবেক সভাপতি ও সম্পাদক কমিটির রেজুলেশনে নতুন সদস্য ফরম ৫০ টাকা করে নিধারিত থাকলেও কোন কোন সদস্যের কাছে থেকে ১ হাজার টাকা করে নিয়ে ফরম বিক্রি করেন এবং একই নম্বরের সদস্য ফরম ফটোকপি করে বিতরণ করেন এবং অতিরিক্ত টাকা আত্মসাৎ করেন। ৩২ সদস্য ১ হাজার টাকা করে ফরম কিনেছেন। অতিরিক্ত (৯৫০*৩২) ৩১২০০ টাকা কোন রেজুলেশন বা সমিতির আয় ব্যয়ের খাতায় লিপিবদ্ধ বা সমিতির ব্যাংক হিসাবে জমা না করিয়া প্রতারণামুলক ভাবে আত্মসাৎ করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯-২০ সেশনে কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. সাজেদুর রহমান জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান সোহাগ থাকাকালীন সময়ে তাদের বিরুদ্ধে ১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা আত্মসাত এবং সেই অর্থ ফেরত না দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন বর্তমান কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. বদিউজ্জামান বাদল।