যবিপ্রবি প্রতিনিধি: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) বার্ষিক ক্রীড়া সপ্তাহ ২০২৩ এ ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন(পিটিআর) বিভাগ ও অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম (এআইএস) বিভাগের মধ্যকার টেবিল টেনিস খেলাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় এক কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের সাথে উদ্ভট আচরণ করেন।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল জিমনেসিয়ামে খেলা চলাকালীন সময়ে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, যবিপ্রবিতে চলমান ক্রীড়া সপ্তাহ-২০২৩ এর আন্তঃবিভাগ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মেয়েদের টেবিল টেনিস খেলায় দুইটি গ্রুপ করা হয় যেখানে প্রতি গ্রুপে ১০ টি বিভাগ অংশ নেয়।”এ” গ্রুপ থেকে অন্যান্য বিভাগের সাথে জয়লাভ করে সেমিফাইনালে ওঠে পিটিআর বিভাগ। গ্রুপ ‘বি’ হতে কোন বিভাগ অংশ না নেওয়ায়, এ গ্রুপ থেকে পয়েন্ট অনুযায়ী বিভাগ নিয়ে ফাইনাল খেলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গ্রুপ ‘এ’তে পয়েন্টে এগিয়ে থাকায় শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান(পিইএসএস) বিভাগ পিটিআর’র সাথে ফাইনাল খেলার জন্য বিবেচিত হয়।
কিন্তু বেশ দেরীতে উপস্থিত হয়ে এআইএস বিভাগ দাবী করে তারাও খেলায় অংশ নিবে এবং “বি” গ্রুপ থেকে একমাত্র দল হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় তারা ফাইনাল খেলবে। এ নিয়ে এআইএস বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী পিটিআর বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে বাকবিতন্ডা শুরু করে। একপর্যায়ে তা উভয় বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
এদিকে এসময় শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিভাগের ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর শাহিনুর রহমান শিক্ষার্থীদেরকে ‘তুই’ সম্বোধন করে খারাপ আচরণ করেন। ইতিপূর্বে বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে, বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথেও তিনি এমন বাজে আচরণ করেন বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে শরীরচর্চা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, খেলা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া উদ্ভট পরিস্থিতি শিক্ষক, কর্মকর্তা ও ছাত্রপ্রতিনিধিদের নিয়ে বিষয়টি দাপ্তরিকভাবে সমাধান করা হয়েছে। টেবিল টেনিস খেলা নিয়ে সমস্যা হয়েছিলো সেই খেলা আবার অনুষ্ঠিত হবে। আশা করি নতুন করে আর কোনো সমস্যা হবে না।
শিক্ষার্থীদের সাথে দাপ্তরিক কর্মকর্তার আচরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। দপ্তর থেকে অফিসিয়ালি নোটিশ দিয়ে দিবো এবং তাদেরকে সর্তক করবো যেন তাঁরা প্রশাসনিক আচরণ বিধি মেনে চলে। ভবিষ্যতে এই দপ্তর থেকে এমন আচরণ আর হবেনা বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।