যবিপ্রবি সংবাদদাতা: উৎসবমুখর পরিবেশ ও নানা আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফাইনাল খেলায় শারীরিক শিক্ষা ও ক্রিয়া বিজ্ঞান বিভাগ (পিইএসএস) চ্যাম্পিয়ন ও পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ (ইএসটি) রানার্সআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
আজ মঙ্গলবার সকালে যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ২০ ওভারের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান বলেন, যবিপ্রবিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে গবেষণা, খেলাধুলা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন। খেলাধুলা যবিপ্রবিকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছে। আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতায় আরও ভালো দল গঠনের জন্য এই প্রতিযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। চ্যাম্পিয়ন ও রানার-আপ দলকে শুভেচ্ছা জানান তিনি।
আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬ টি বিভাগ। ফাইনাল খেলায় প্রথমে টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় পিইএসএস বিভাগ। নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৯ রান করে পিইএসএস বিভাগ। রান তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষ হওয়ার আগেই ৫৯ রানে অলআউট হয় ইএসটি বিভাগ। ১৩০ রানে জয়লাভ করে পিইএসএস বিভাগ। প্রতিযোগিতায় ম্যান অফ দ্যা ফাইনাল হোন পিইএসএস বিভাগের মো. বিপুল শেখ, সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি একই বিভাগের মো. মনিরুজ্জামান নিশাত, সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সিয়াম আহমেদ ও ম্যান আফ দ্যা টুর্নামেন্ট ইএসটি বিভাগের মো. মাহফুজ আহমেদ। খেলা পরিচালনা করেন শ্রী নিবাষ কুমার হালদার, বিধান কুমার দত্ত, আমিনুল ইসলাম ও স্কোরারের দায়িত্ব পালন করে আল ইমরান শান্ত।
শরীরচর্চা শিক্ষা দপ্তরের সদ্য সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন, শরীরচর্চা শিক্ষা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শরীরচর্চা শিক্ষা দপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: আব্দুল ওয়াহেদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিন অধ্যাপক ড. মো. জাফিরুল ইসলাম, শরীরচর্চা দপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুল্লাহ-হেল কাফি, ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর উজ্জল চন্দ্র সূত্রধর, মোঃ শাহিনূর রহমান, মোঃ রায়হান রাকিব, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।