যবিপ্রবি প্রতিনিধি: মেস মালিক ও তার স্ত্রীর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কয়েকজন ছাত্রী। ভুক্তভোগী ছাত্রীদের দাবি অনুমতি বিহীন গভীর রাতে রুমে পুরুষ মানুষ প্রবেশ, মনগড়া বাড়ি ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে স্বেচ্ছাচারীতা করে আসছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটস্থ ‘বিশ্বাস’ মেসের মালিক মো. রবিউল ইসলাম (৫৫) ও তার স্ত্রী তানিয়া বেগম। কিন্তু আজ ১৪ জুন (বুধবার) বাড়িওয়ালা শিক্ষার্থীদের নোংরা ভাষায় গালাগালি সহ একপর্যায়ে মারধর করলে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীসহ সবার সামনে আসে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ঐ মেসের মালিক ও তার স্ত্রীর নামে যশোর কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে।
জিডির তথ্য মতে, ‘যশোর কোতয়ালী মডেল থানাধীন আমবটতলা বাজার সংলগ্ন বিশ্বাস মেসে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা ভাড়া থাকে। ইং ১৪/০৬/২০২৩ তারিখ বিকাল অনুমান ০৫.০০ ঘটিকার সময় বিবাদীদ্বয়ের (রবিউল ইসলাম ও তানিয়া বেগম) সাথে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সাথে ভাড়া নিয়া তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে বিবাদীদ্বয় ছাত্রীদের উপর ক্ষিপ্ত আমার সহপাঠী তামান্নাকে (ছদ্মনাম) মারপিট করে। আমি (সামিউল) চিৎকারের আওয়াজ পেয়ে নিচতলা যেয়ে বিবাদীদ্বয়ের নিকট ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে আমাকে মারপিট করে এবং আমাকে ও আমার সহপাঠীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে।’
একপর্যায়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম বাড়ির মালিক, শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের উপস্থিতিতে আলোচনার মাধ্যমে বিবদমান বাকি সমস্যাগুলো সমাধান করেন। পরবর্তীতে ছাত্রীরা নিরাপত্তার আশঙ্কা করলে পুলিশ প্রশাসন ছাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানের আশ্বাস দেন।
মেসের ভুক্তভোগী এক ছাত্রী বলেন, ‘মেস মালিক ও তার স্ত্রী বিভিন্ন সময় মেসের ছাত্রীদের মানসিক নির্যাতন করে আসছে। কছুদিন পরপর মেসের সিট ভাড়া সহ বিভিন্ন জিনিসের ভাড়া বৃদ্ধি করে। অসামাঞ্জস্য বিদ্যুৎ বিল নির্ধারণ করে। বিদ্যুৎ বিলের কাগজ দেখতে চাইলে তাদের নোংরা ভাষায় কথা শোনায়। কেউ মেস ছেড়ে দিতে চাইলে বলে ৬ মাসের টাকা দেয়ে যেতে হবে।’
ভুক্তভোগী আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘মেস মালিক সময়ের অসময়ে মেয়েদের রুমে চেলে আসেন। যার ফলে আমারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগী। মেসের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা ও ভালো না, যেকোন সময়ে বাড়িওয়ালা সহ বাহিরের লোক মেসের ভিতর প্রবেশ করে। কোন সমস্যা নিয়ে অভিযোগ দিতে গেলে উল্টো আমাদের নোংরা ভাষায় কথা শোনায়।’
তবে এসব অস্বীকার করেছেন বাড়িওয়ালা রবিউল ইসলাম ও তার স্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. সাদিদ হোসাইন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটস্থ ‘বিশ্বাস’ মেসে ছাত্রীদের সাথে বাড়িওয়ালার বাকবিতন্ডা খবর পেয়ে মেসে যায়। এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।