আমাদের দেশে জিপিএ পদ্ধতি দিয়ে আলাদা কোন সুবিধা হবে না। বরং নানা রকম বিভাজন তৈরি হবে। এমনিতেই পাস আর ফেলের হার নিয়ে বিতর্ক আছে, এখন জিপিএ পদ্ধতি নিয়েও শুরু হবে।
বাইরের দেশে আমাদের গ্রাজুয়েটরা গেলে লাইসেন্সিং পাস করতে হয়। সেটা এখানের সিস্টেমেও আছে, জিপিএ পদ্ধতিতে করলে এখানে কি বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে?
আমাদের দেশে জিপিএ পদ্ধতি দিয়ে আলাদা কোন সুবিধা হবে না। বরং নানা রকম বিভাজন তৈরি হবে। এমনিতেই পাস আর ফেলের হার নিয়ে বিতর্ক আছে, এখন জিপিএ পদ্ধতি নিয়েও শুরু হবে। মেডিকেলে পাস করাটাই যথেষ্ট শ্রম সাধ্য ব্যাপার। সেখানে কম জিপিএ পেলে এমবিবিএস ডিগ্রিটাই অবমূল্যায়ন হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
আমাদের দেশে এমবিবিএস চিকিৎসকরা নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়, বিএমডিসি এখনও এমবিবিএস ছাড়া চিকিৎসা দেওয়ার প্রতারণা বন্ধ করতে পারেনি। সেখানে এমবিবিএস ডিগ্রিকে জিপিএ দিয়ে আরও শৃঙ্খলিত করে দেয়া হবে।
মেডিকেল কারিকুলাম নিয়ে যারা কাজ করেন, তারা অবশ্যই অনেক বিজ্ঞ, শ্রদ্ধেয়। আর জিপিএ আনার পিছনে এই কারিকুলামকে আরও উন্নত করার মহৎ উদ্দেশ্য কাজ করছে সন্দেহ নেই। তারপরেও সম্মান রেখে বলতে চাই, আমাদের দেশের এমবিবিএস জিপিএ সিস্টেমের জন্য এখনি প্রস্তুত না।
যখন কোয়াক প্র্যাক্টিস পুরাপুরি বন্ধ করা সম্ভব হবে। সরকারী উদ্যোগে বিশাল সংখ্যক চিকিৎসক বাইরে পাঠানো শুরু হবে। এমবিবিএস চিকিৎসকদের উপযুক্ত বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন করা যাবে। তারপরেই এই জিপিএ সংস্কার নিয়ে কাজ করা যায়। তার আগে এটা শুধুই বিশৃঙ্খলা, বিতর্ক আর হতাশার কারণ হয়ে যাবে। আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতায় এটাই আশঙ্কা হয়। আশা করি, বিজ্ঞ শিক্ষকরা আবার বিবেচনা করবেন।