ডেস্ক রিপোর্ট: ‘একক যাত্রা’র কার্ড সংকটে দ্রুতগতির গণপরিবহন মেট্রোরেলের বিভিন্ন স্টেশনে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০ হাজার কার্ড চলতি ডিসেম্বর মাসেই আসছে বলে জানিয়েছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
এদিকে কার্ড সংকট মোকাবিলায় ডিএমটিসিএল নতুন করে একক যাত্রার কার্ড সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়। নতুন উদ্যোগে ৪ লাখ নতুন কার্ড অর্ডার করা হয় জাপানে। এর মধ্যে প্রথম ২০ হাজার কার্ড গত নভেম্বর মাসে দেশে আসে।
ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা গেছে, মেট্রোরেল যখন চালু হয় তখন স্টেশনগুলোতে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৪১টি একক যাত্রার কার্ড দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এক বছর ৯ মাস পর গত অক্টোবর মাসে জানানো হয় ২ লাখের বেশি একক যাত্রার কার্ড হারিয়ে গেছে। কারণ হিসেবে বলা হয়, যাত্রীরা অনেক কার্ড সঙ্গে নিয়ে গেছেন, আবার কিছু কার্ড নষ্ট হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তখন প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে যাওয়া কার্ডগুলো যাত্রীদের ফেরত দেওয়ার অনুরোধ জানায়। এজন্য মেট্রোরেল স্টেশনগুলোতে একটি করে বক্সও দেওয়া হয়েছিল।
মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬ এর প্রকল্প পরিচালক মো. জাকারিয়া বলেন, শুরুতে এমআরটি পাসসহ ৩ লাখ ১৪ হাজার টিকিট (কার্ড) আনা হয়েছিল। সেখান থেকে এখন টিকিট আছে মাত্র ৪০ হাজার। অনেক যাত্রী ট্রেনে বসেই টিকিট ধনুকের মতো বাঁকা করেন। এতে টিকিটের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়।
স্টেশনগুলোতে কার্ড সংকট সম্পর্কে তিনি বলেন, সকালে বেশিরভাগ যাত্রী মতিঝিল-সচিবালয় যান। ফলে টিকিটগুলো সব ওইদিকে চলে যাচ্ছে। উত্তরার এ পাশ থেকে যদি ২০০ লোক যায়, তবে ফিরে আসে ১০০ লোক। এতে করে একক যাত্রার ভারসাম্য হয় না। এই যে সকালে একদিকে যাত্রীর চাপ বেশি থাকে আর ফিরে আসে কম, তাই বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত টিকিট নিয়ে টানাটানি থাকে।
প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, এ সমস্যা চলে যাবে। এ মাসের ১৬ তারিখে ২০ হাজার টিকিট দেশে আসার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এটা মাসের শেষের দিকে হাতে পাওয়া যাবে। কয়েকটা জায়গা থেকে টিকিট বানানোর প্রক্রিয়া হয়ে থাকে। জাপান টিকিট দিলেও এটার প্রিন্টিং হয় ইন্ডিয়া থেকে। মোট ৪ লাখ টিকিট কেনা হচ্ছে। এর মধ্যে ইতোমধ্যে ২০ হাজার টিকিট পাওয়া গেছে। ১৬ তারিখে ২০ হাজার টিকিট আসার পর আবার ২৮ ডিসেম্বর আরও ৩০ হাজার টিকিট আসার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এতে করে সামনের মাসের মধ্যে সংকট কেটে যাবে।