ডেস্ক রিপোর্ট: মূল্যস্ফীতি আগে আট বা নয়ে আটকে রাখা হলেও এখন কোনো কারচুপি নাই বলেই মূল্যস্ফীতি বেশি দেখাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, বিবিএসকে বলা হয়েছে তথ্য যা আছে তাই যেন প্রকাশ হয়। এখানে কারচুপির কোনো ব্যাপার নেই।
আজ শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে সিরডাপ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে বাংলাদেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তথ্যভিত্তিক গবেষণাগ্রন্থ ‘ব্যাংকিং অ্যালমানাক’ ষষ্ঠ সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমাদের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের মতো পুঁজিবাজারে অবস্থাও একই রকমের। পুঁজিবাজারের শেয়ার প্রাইস কমে যাচ্ছে বলেই ‘চেয়ারম্যানকে রিমুভ কর’ বলে মিছিল হচ্ছে। আপনারা জেড ক্যাটাগরির শেয়ার কিনছেন, যার কোনো অস্তিত্ব নেই। অথচ এ শেয়ার মহা আনন্দে কিনছেন। ন্যূনতম কোনো মূল্য নেই, এগুলো কয়েক দিন পরই ওয়েস্ট পেপার হিসেবে ব্যবহার হবে। এজন্য একটু কষ্ট করতে হবে। আমি বিনিয়োগকারীদের দায় দিচ্ছি না। পুঁজিবাজারের প্লেয়ার ও রেগুলেটরদের অনেক দায় রয়েছে।
তিনি বলেন, সঠিক তথ্য-উপাত্ত ছাড়া কোনো কিছু মূল্যায়ন হয় না। বিগত ১৫ বছরের তথ্য বিভ্রাট নিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। মূল্যস্ফীতি নিয়ে তথ্য বিভ্রাটের পেছনে অনিচ্ছাকৃত কিছুটা ভুল রয়েছে আবার নীতি নির্ধারাকরাও তথ্য লুকানোর চেষ্টা করেন।তিনি আরও বলেন, আমরা কোনো পাওয়ার দেখাতে আসিনি একটা দায়িত্ব নিয়ে এসেছি। বিগত ১৫ বছরের তথ্য নিয়ে নানা বিভ্রাট রয়েছে। তথ্য লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা এগুলো পরিবর্তন ও সংস্কারের চেষ্টা করছি। ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো করার চেষ্টা করছি। যাতে করে ব্যবসায়ী এক স্থান থেকে সব তথ্য পাবেন। তথ্যের জন্য ব্যবসায়ীদের ১০ জায়গা দৌড়াতে হবে না।
ব্যাংকিং অ্যালমানাকের বোর্ড অব এডিটরসের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অর্থসচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন গ্রন্থটির এক্সিকিউটিভ এডিটর সৈয়দ জিয়াউদ্দিন আহমেদ।