The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪

মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাঁথা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের লিখে রাখতে আহ্বান

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, নতুন প্রজন্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথা তাদের জানাতে হবে। এজন্য মুক্তিযুদ্ধে নিজেদের বীরত্বগাঁথা লিখে রাখতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহান কবির (বীরপ্রতীক) রচিত ‘খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথা’ বইয়ের মোড়ক উম্মোচনের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ ২৩ বছরের সংগ্রাম আর ত্যাগের ফসল হচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশ। স্বাধীনতাকে অর্থপূর্ণ করতে হলে দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন প্রজন্ম যত জানবে তত বেশি তারা দেশপ্রেম নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

এ সময় মন্ত্রী পাকিস্তান আমলে বাঙালিদের প্রতি বিভিন্ন বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরেন।

সাবেক সচিব শাজাহান সিদ্দিকীর (বীর বিক্রম) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সাব-সেক্টর কমান্ডার মাহাবুব উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম), মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার।

বইটির প্রথম অংশে প্রথম দিকে মহান মুক্তিযুদ্ধের সাংগঠনিক কাঠামো, ১১টি সেক্টর কমান্ডারদের নাম ও সেক্টর এলাকাসহ তিনটি ব্রিগেড ফোর্সের বিবরণ, ১১টি সেক্টরের অধীনে সাব-সেক্টর কমান্ডারদের নাম ও এলাকার বিবরণ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। দ্বিতীয় অংশে সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ, তৃতীয় অংশে ৩৪ জন বীরউত্তম, চতুর্থ অংশে ৪৬ জন বীরবিক্রম ও শেষাংশে ২১৪ জন বীরপ্রতীকের দুঃসাহসিক যুদ্ধের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া এসব বীরদের বাল্য জীবন থেকে শুরু করে বর্তমান-অবস্থান পর্যন্ত বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.