The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

মিষ্টি খেতে ইবি উপাচার্যকে দশ লক্ষ টাকার প্রস্তাব

ইবি প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামকে চাকরি প্রদানের বিনিময়ে দশ লক্ষ টাকার মিষ্টি খাওয়ার প্রস্তাব পাঠিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে রহস্যময় ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েছেন মিথি নামের এক তরুণী৷

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে চাকরি প্রদানের অনুরোধ জানিয়ে প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন এবং পরবর্তীতে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয়। হোয়াটসঅ্যাপ আইডিতে তার নাম দেখা যায় মিথি। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান ইবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

জানা যায়, ক্ষুদে বার্তায় ঐ তরুণী লিখেন,

“স্যার,,, ১০ লাখ মিষ্টি খেতে নেন স্যার, এটা
আপনি আর আমি ছাড়া কেউ জানবেনা
ইনশাআল্লাহ,আমার সত্যিই ওখানে কেউ
নেই,প্লিজ স্যার চাকরিটা খুব দরকার”।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, আনুমানিক বেলা ১১ টার দিকে উপাচার্যকে ফোন দিয়ে একটি অপরিচিত মেয়ে যোগাযোগ করতে চাচ্ছিলো। উপাচার্যের সাড়া না পেয়ে মেয়েটি ম্যাসেজ পাঠায় যে, যদি তাকে চাকরি দেয়া হয় তাহলে ১০ লক্ষ টাকা দিবে। এর পরেই আমরা ইবি থানায় একটি জিডি করি যাতে ভবিষ্যতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটি প্রকাশ হলেও কোনো সমস্যা না হয়।

এ বিষয়ে ইবি থানার উপ পরিদর্শক মেহেদী হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে রেজিস্ট্রার মহোদয় একটি জিডি করেছেন। জিডি নম্বর ১০২১। আমরা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে এবিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

বিষয়টি নিয়ে ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, এক নারী হোয়াটসঅ্যাপে ফোন দিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলতে চায়, পরিচয় কি? কি বিষয়ে কথা বলতে চান? জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাকরির বিষয়ে। তখন আমি বললাম চাকরির বিষয়ে আমি কোনো কথা বলি না। তখন তিনি বলেন, চাকরিটা আমার খুব দরকার। পরে আমি ফোন কেটে দিলে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে চাকরি প্রদানের বিনিময়ে মিষ্টি খেতে দশ লক্ষ টাকার প্রস্তাব দেন। আমার ধারণা এটা কোনো একটা সংঘবদ্ধ চক্রের কাজ। আমাকে ফাঁদে ফেলার জন্য তারা এটা করতে পারে। তারা উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে পূর্বাপর যে তৎপরতা চালিয়েছে এ ফোনকল তারই অংশ হতে পারে। এরা আমার মানক্ষুন্ন করার জন্য এ কাজ করে থাকতে পারে। আমি রেজিস্ট্রারকে তাৎক্ষণিক থানায় জিডি করতে বলেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছি।

উপাচার্য আরও বলেন, আবারও বলছি আমি কোনো ধরনের দূর্নীতির সঙ্গে জড়িত না। আমার সময়ে সকল নিয়োগ স্বচ্ছতার সঙ্গে দিয়েছি। যে যোগ্য তাকে নিয়োগ দিয়েছি।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.