ঢাবি প্রতিনিধি: সাংবাদিক ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তার মুক্তির দাবিতে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধনে এ আল্টিমেটাম বেধে দেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,বিগত ফ্যাসিবাদ সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন মাহমুদুর রহমান। তিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে অনেক লেখালেখি করেছেন। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি এলাকা থেকে ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রগাপান্ডাদের দূর করতে হবে। প্রধান উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ও মামলা ছিল।এরপর তিনি দেশে এসে উপদেষ্টা হয়েছেন। তাহলে মাহমুদুর রহমান কে কেনো জেলে প্রেরণ করা হলো। মাহমুদুর রহমান জেলে থাকা মানে বাংলাদেশ জেলে থাকা।
আমার দেশ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক জায়েদ ইসলাম বলেন, মাহমুদুর রহমান সত্য ও ন্যায়ের পথে ছিলেন। দেশের মানুষ কে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দেশের মানুষকে সাহস জুগিয়েছেন। তাকে ২০১৮ সালে কুষ্টিয়ায় হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়।তার বিরুদ্ধে ১২৪ টি মামলা করা হয়েছে। একজন সাহসী সাংবাদিক কে জামিন না দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেছে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা।
তিনি আরো বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের আইন গণবিপ্লব এর পর চলবে না। যেসব বিচারক অন্যায় ভাবে ফ্যাসিস্ট সরকারের পক্ষে রায় দিয়েছে সেই সকল বিচারকদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের
আইনজীবী মনিরুজ্জামান বলেন, মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে আনিত সব অভিযোগ মিথ্যা। তিনি হাসিনা সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম ধরেছেন এটাই ছিল তার অপরাধ। দেশ স্বাধীনের পর অনেকে মুক্তি পেলো কিন্তু নির্ভিক ও সৎ একজন মানুষকে জেলে আটকে রেখেছে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য আতিক মোজাহিদ বলেন, ডেইলি স্টার, প্রথম আলোরমত পত্রিকা গুলো যখন ফ্যাসিস্ট সরকারের দালালি করছিলো ঠিক সেই সময় মাহমুদুর রহমান কলম যুদ্ধে নেমে পড়েন। আমরা মাহমুদুর রহমানকে উপদেষ্টা হিসেবে চাই।
উল্লেখ্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত রোববার বেলা ১১টার দিকে তিনি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।